ইকো পার্কের জয়রাইড দুর্ঘটনাকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ হিসেবেই দেখছে রাজ্য সরকার। গত রবিবার সন্ধ্যায় ঝড়ে ওই পার্কের ‘ট্রাম্পোলিন মিকি মাউস’ উল্টে ১৩টি শিশু জখম হয়। তার মধ্যে তিন বছরের রিয়ান নায়েক এখনও ভেন্টিলেশনে। ওই ঘটনার পরে জখম শিশুদের বাবা-মায়েরা ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। যার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনকে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই মতো শুক্রবার লিখিত রিপোর্টের পাশাপাশি সিডি-তে সিসিটিভি-র ফুটেজও দেওয়া হয় মন্ত্রীকে। পুরমন্ত্রী বলেন, “ওই রাইড দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ঝড় এসে রাইডের জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেয়। তার ফলেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ মন্ত্রীর সাফাই, ‘‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে দুর্ঘটনা ঘটায় কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।”
দুর্ঘটনার পরে ইকো পার্কের সমস্ত রাইড বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন ফিরহাদ। এ দিন তিনি জানান, আজ, শনিবার থেকে টয় ট্রেন চলবে। জলের উপরে যে সব রাইড আছে, সেগুলি এখনই চালু হচ্ছে না। কালবৈশাখীর কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত।
এ দিকে, রিয়ানকে শুক্রবারও ভেন্টিলেশন থেকে বার করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ফের ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। তবে তার দিদি মনীষাকে সাধারণ শয্যায় দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy