—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি কাজে আধিকারিকদের যাতায়াতের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য গাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক গাড়ির ভাড়ার হার ঘোষণা করল রাজ্য। ঘোষিত হার পেট্রল এবং ডিজ়েলে চলা গাড়ির তুলনায় অনেকটা বেশি হওয়ায় তা বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহন ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন বলে খবর।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আধিকারিকদের ব্যবহারের জন্য ভাড়া নেওয়া বৈদ্যুতিক গাড়ি দিনে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটলে সেগুলির জন্য ভাড়া হবে মাসিক ৪৬ হাজার টাকা। তবে দিনে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত ছুটলে সেই ক্ষেত্রে কিলোমিটার প্রতি আট টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া ধার্য হবে। পাশাপাশি, বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ দফতরের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে।
বাতানুকূল গাড়ি ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও লাগবে অর্থ দফতরের অনুমতি। পেট্রল এবং ডিজ়েলচালিত সাধারণ লাক্সারি ট্যাক্সি শ্রেণির গাড়ি অবশ্য আগের মতোই ভাড়া করা যাবে। তার জন্য অর্থ দফতরের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে সরকারের নিজের কেনা পুলের গাড়ির বাইরে পেট্রল বা ডিজ়েলচালিত গাড়ি ভাড়া করার জন্য দৈনিক ৪৬৮ টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া নির্দিষ্ট ভাবে ধরাবাঁধা হারে দেওয়া হয় তেলের খরচ।
বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে প্রাপ্য টাকার হার অনেকটা বেশি হওয়ার ফলে সরকারি কাজে ভাড়া দেওয়ার জন্য এই ধরনের গাড়ি কেনার আগ্রহ বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই ধরনের গাড়ির ব্যবহার দূষণ কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ সহায়ক হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। তবে, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে নতুন গাড়ি কেনার জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। সাধারণ পেট্রল এবং ডিজ়েলে চলা গাড়ির তুলনায় ওই খরচ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি।
সেই খরচের কথা মাথায় রেখেই মাসিক ভাড়ার হার বাড়ানো হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy