করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শহরের বিভিন্ন ‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতও। বাসিন্দাদের গাড়ি ছাড়া বাইরের কোনও যানবাহনও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ওই সমস্ত এলাকায়। এর জন্য বিভিন্ন রাস্তা বেছে নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় আবার নজরদারি চালানোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশবাহিনীও।
লালবাজার সূত্রের খবর, স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত ওই সব এলাকার বিভিন্ন অলিগলি বৃহস্পতিবার থেকেই ব্যারিকেড করার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ওই সব স্পর্শকাতর এলাকার বাসিন্দাদের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা এ দিন জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যারিকেডের ভিতরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। যাতে অন্য এলাকার লোকজন তাঁদের সংস্পর্শে না আসেন। শুক্রবারই কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা থানাগুলিকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় রাস্তায় বেরোনো সকলেই মাস্ক পরছেন কি না, সে দিকে নজর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের মাইকিং এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন ওসিদের।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা-সহ চারটি জেলাকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করে। রাজ্য প্রশাসন আগেই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করেছিল। মূলত যে সব এলাকায় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, সেই সব এলাকাই স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব অঞ্চলে রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।