Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পুর অবহেলায় জলাশয় যেন পচা ডোবা

তবে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানও ‘নস্যাৎ’ হয়ে গেল? কসবার নিউ বালিগঞ্জে একটি জলাশয়ের সংস্কারে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে তেমনই প্রশ্ন উঠছে। বছর ন’য়েক আগেও ওই পুকুরে জলকেলি করতো ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁস।

অযত্ন: কসবার সেই জলাশয়। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

অযত্ন: কসবার সেই জলাশয়। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০০:১৪
Share: Save:

তবে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানও ‘নস্যাৎ’ হয়ে গেল?

কসবার নিউ বালিগঞ্জে একটি জলাশয়ের সংস্কারে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে তেমনই প্রশ্ন উঠছে। বছর ন’য়েক আগেও ওই পুকুরে জলকেলি করতো ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁস। রোজ দু’বেলা সেই জলাশয়ে সাঁতার কাটতেন এলাকার বাসিন্দারা। ৪৭বি নিউ বালিগঞ্জ রোডের সেই জলাশয় এখন ‘মরা’ পুকুরের চেহারায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৭ সালেও জলে টলমল ছিল ওই জলাশয়। ক্রমেই সংস্কারের অভাবে তার পরিসর কমতে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালে জল ধরো জল ভরো কর্মসূচির সঙ্গে পুকুর সংস্কারের ডাক দেন। তা শুনে আশ্বস্ত হন এলাকার নবীন-প্রবীণেরা। আবেদন নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। বাসিন্দাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দিন কয়েকের মধ্যেই কাগজে বিজ্ঞাপন দেয় পুরসভা। সেই নোটিসে বলা হয় ওই পুকুরটির সংস্কার প্রয়োজন। পুকুরের মালিক এক মাসের মধ্যে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এর মধ্যে না এলে পুরসভা ওই পুকুর নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে এমনও বলা হয় ওই নোটিসে।

আরও পড়ুন

চিকিৎসা-বর্জ্য নিয়ে দূষণ-দোষে এনআরএস, আরজিকর

পুরসভা সূত্রের খবর, মালিকের খোঁজ না মেলায় ওই পুকুরটি পুরসভার অধীনে চলে আসে। স্বভাবতই তা সংস্কারের দায় পুরসভার উপরেই ন্যস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিন বছর কেটে গেলেও পুরসভা কিছুই করেনি। বরং দূরবস্থা আরও বেড়েছে পুকুরটির। এখন দেখলেই মনে হবে পুকুর নয়, যেন কোনও পচা ডোবা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এলাকায় জলাশয়ের বড় অভাব। এমনকী আগুন লাগলে তা নেভানোর জন্য হাইড্র্যান্ট এখানে নেই। পুকুরটি জল সরবরাহেও কাজে দিত। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে পুকুর সংস্কারের বার্তা শুনে ভরসা হয়েছিল। কিন্তু পুরসভা সংস্কার না করায় ফের আশাহত বাসিন্দারা। বরং তাঁদের আরও আশঙ্কা, কসবা অঞ্চলে যে ভাবে জলাভূমি বুজে নির্মাণ চলছে, একদিন এই জলাশয়ের তেমনই পরিণতি হবে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাফাই, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কিন্তু পুকুর সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ থাকলেও এই কাজে কেন গাফিলতি করলেন পুরসভার দায়িত্বশীল অফিসারেরা, সেই প্রশ্ন উঠছে পুরমহলে।

মাস খানেক আগে এই অঞ্চলের একটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করার অভিযোগ পেয়ে মেয়র নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বন্ধ করে দেন। এ দিন মেয়র ওই পুকুরটির কথা শুনে জানান, খোঁজ নিচ্ছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pond Rotten Pool Negligence Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE