Advertisement
E-Paper

পড়ুয়াদের নিয়ে উৎসবে মাতবে চিড়িয়াখানা

রাজ্য জু অথরিটির সদস্য-সচিব বিনোদ যাদব জানান, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসের দিন এই উৎসব শুরু হবে। চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৩

সংসারের সদস্য সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েক বছরে বেড়েছে দর্শক সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে চিড়িয়াখানাকে জনপ্রিয় করতে উৎসবের পথে হাঁটছে রাজ্য জু অথরিটি। তারা জানিয়েছে, উৎসবের মূল বিষয় বন্যপ্রাণী সচেতনতা। সেই উৎসবে সামিল হবে বিভিন্ন স্কুলের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা।

রাজ্য জু অথরিটির সদস্য-সচিব বিনোদ যাদব জানান, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসের দিন এই উৎসব শুরু হবে। চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। বন্যপ্রাণী নিয়ে কর্মশালা, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য তৈরি, ক্যুইজ, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা থাকবে। ক্লাস অনুযায়ী পড়ুয়াদের চারটি ভাগে ভাগ করে প্রতিযোগিতা হবে। প্রতি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ৫ হাজার, ৩ হাজার এবং ২ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, সরাসরি যোগ দিতে না পারলেও আমজনতা উৎসবে সামিল হতেই পারবেন। উৎসবে যোগ দিতে হলে স্কুলপড়ুয়াদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে আলিপুর চি়ড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যে এমনিতেই উৎসব-মেলার অন্ত নেই। তার উপরে চিড়িয়াখানা উৎসবের অর্থ কী?

জু অথরিটির কর্তাদের বক্তব্য, ফি বছর শীতে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এলেও বহু মানুষই বন্যপ্রাণী নিয়ে সচেতন নন। ফলে নানা সময় খাঁচার ভিতরে খাবার ছুড়ে দেওয়া থেকে পশুপাখিদের উত্যক্ত করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তাই সচেতনতা বাড়াতে আগামী প্রজন্মের নাগরিক স্কুল পড়ুয়াদের বেছে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদেরও সামিল করার কথা জানিয়েছেন জু অথরিটির পদস্থ কর্তারা।

চিড়িয়াখানার কর্মীদের একাংশ মনে করছেন, এই মরসুমে ক্যাঙারু, ভারতীয় সিংহ, জাগুয়ার, মাউস ডিয়ারদের মতো নতুন সদস্যদের দেখতে দর্শকদের ভি়ড় বাড়তে পারে। তাই ছুটির মরসুম শুরু হওয়ার আগেই এই ধরনের উৎসব আমজনতার মনেও প্রভাব ফেলবে। সপ্তাহ খানেক আগে জাপান থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছেছিল ক্যাঙারুরা। এর পর হায়দরাবাদ থেকে হাজির হয়েছে সিংহ, জাগুয়ার, মাউস ডিয়ার। আসার পথে খাঁচায় ধাক্কা লেগে চোট পেয়েছে সিংহ, জাগুয়ার। বিনোদ যাদব জানান, সম্ভবত আসার পথে মেজাজ হারিয়ে খাঁচার গরাদে মাথা ঠুকেছিল বিশ্বাস নামে সিংহ এবং আর্য নামে পুরুষ জাগুয়ারটি। তাতেই চোট পেয়েছে তারা। তবে ক্ষত তেমন গুরুতর নয়। সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক স্প্রে করা হয়েছে।

চিড়িয়াখানা সূ্ত্রের খবর, পৌঁছনোর পর থেকে গা এলিয়েই ছিল নতুন সদস্যেরা। দিন কয়েক আগে নড়েচড়ে বসে নতুন বাসায় অল্পবিস্তর হাঁটাহাঁটিও করেছে সিংহ ও জাগুয়ার দম্পতি। ধীরে ধীরে স্বাদ বদল হবে।

Zoo Wildlife Festival
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy