এ দিন উজ্জ্বলার পরিবারের সদস্যরা জানান, চিৎকারের শব্দ শুনে ফ্ল্যাটের বারান্দায় গিয়ে দেখেন গ্রিল খোলা। একটু ঝুঁকে নীচের দিকে তাকিয়ে রক্তাক্ত দেহ দেখে তাঁদের চিনতে অসুবিধা হয় না নিজের বাড়ির মেয়েকে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী, মেয়েকে পিছমোড়া করে বেঁধে দুঃসাহসিক ডাকাতি সল্টলেকে
এ দিন উজ্জ্বলার পরিবারের তরফ থেকে জানান হয়, প্রথম স্বামীর মৃত্যুর বছর তিনেক পরে দ্বিতীয় বার বিয়ে হয়েছিল উজ্জ্বলার। মাস চারেক আগে দ্বিতীয় বার বিয়ে হয়েছিল উজ্জ্বলার। তাঁর শ্বশুরবাড়ি দেহরাদূনে। দূরত্বের কারণেই জামাইষষ্ঠীর সময় কলকাতায় আসতে পারেননি উজ্জ্বলা ও তাঁর স্বামী। দিন কয়েক আগে স্বামীর সঙ্গে বাপেরবাড়ি এসেছিলেন। উজ্জ্বলার স্বামী দেহরাদূনে ফিরে গেলেও তিনি পুজোর সময় আবার দেহরাদূনে ফিরে যাবেন, এমনই ঠিক ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত যে মেয়ে স্বাভাবিক ছিল, সে কেন এমন করল, সেই রহস্য কাটছে না পরিবারের সদস্যদের কাছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, উজ্জ্বলা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কেন আত্মহত্যা করলেন তিনি, কেউ তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিল কি না, সে দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।