Advertisement
E-Paper

আরও বেশি রাতে শেষ মেট্রো, ইঙ্গিত

এখন প্রতি দিন নোয়াপাড়া এবং কবি সুভাষ, মেট্রোর এই দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯-৪৫ মিনিটে। সেই সময়সূচি বাড়ানো নিয়ে এ বার ভাবনা শুরু করেছে রেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:০৪

এখন প্রতি দিন নোয়াপাড়া এবং কবি সুভাষ, মেট্রোর এই দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯-৪৫ মিনিটে। সেই সময়সূচি বাড়ানো নিয়ে এ বার ভাবনা শুরু করেছে রেল। বুধবার হাওড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেল আয়োজিত ক’টি নতুন ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এ কথা জানান রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “বহু দিন ধরেই যাত্রীরা অনুরোধ করছিলেন রাতে মেট্রোর সময়সূচী বাড়ানোর জন্য। তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মেট্রো রাত ১১টা পর্যন্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনা চলছে। তবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেল প্রতিমন্ত্রী জানান, এখন মেট্রো দু’টি শিফ্টে চলে। রাত ১১টা পর্যন্ত চালাতে গেলে তা বাড়িয়ে তিনটি শিফ্ট করতে হবে। তা কী ভাবে সম্ভব, দেখা হচ্ছে। অধীরবাবু আরও বলেন, “দিল্লিতে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলে, কলকাতাতেও না চলার কোনও কারণ নেই।”
এর পাশাপাশি, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ নিয়ে রেল প্রতিমন্ত্রী আবারও রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “রাজ্য জমি না দেওয়ায় হাওড়া-বি বা দী বাগ পর্যন্ত মেট্রোর কাজ হচ্ছে না। আমরা এখন সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রোর কাজ দ্রুত শেষ করার উপরে জোর দিয়েছি। সেখানেও জমি সমস্যা রয়েছে। রাজ্য সরকার এগিয়ে না এলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ কোনও ভাবেই শেষ হওয়া সম্ভব নয়।”
অধীরবাবু এ দিন ১টি দূরপাল্লার ট্রেন ও ৪টি নতুন লোকাল ট্রেন চলাচলের কথা ঘোষণা করেন। এর মধ্যে আছে সাঁতরাগাছি-চেন্নাই এক্সপ্রেস (দ্বি-সাপ্তাহিক) এবং হাওড়া-আমতা ইএমইউ লোকাল। তিনি জানান, সাঁতরাগাছি-উলুবেড়িয়া, সাঁতরাগাছি-পাঁশকুড়া ও সাঁতরাগাছি-খড়্গপুর ইএমইউ লোকাল আজ, বৃহস্পতিবার থেকে চলবে।
গত দু’মাসে পরপর দু’টি অগ্নিকাণ্ডে ট্রেনের ৫৯ জন যাত্রীর মৃত্যুতে রেলের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অধীরবাবু বলেন, “চলন্ত ট্রেনে পর পর দু’টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেল খুব চিন্তিত। কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা স্পষ্ট নয়। ফরেন্সিক তদন্ত হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, কামরায় অগ্নি-নিরোধক বিধি, ফায়ার অ্যালার্ম, কামরায় অগ্নি প্রতিরোধী রং ও আসন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্যান্ট্রিকারগুলিকেও অগ্নি-নিরোধক করে তৈরি করা হচ্ছে। অধীরবাবু বলেন, “আগুন যাতে না লাগে, সে জন্য রেল প্রতি মুহূর্তে সচেতন রয়েছে। কিন্তু যাত্রীদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়।”

kolkata metro rail
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy