এ যেন আক্ষরিক অর্থেই সহমরণে যাওয়া। তবে শাস্ত্রমতে নয়, স্রেফ এক জনের ভুলের মাসুলে।
একটি শবের দাহকাজ চলাকালীনই মঙ্গলবার আর একটি দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই চুল্লিতে। বিরল এই কাণ্ডে তুলকালাম বেধে যায় শ্মশানে।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর কলকাতার কাশীপুর রামকৃষ্ণ মহাশ্মশানে। পুরসভা সূত্রের খবর, শ্মশানে কর্তব্যরত দুই ডোম গৌতম মল্লিক ও ছোটেলাল মল্লিক এই ঘটনার জন্য দায়ী। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই কাজ সুস্থ মস্তিষ্কের নয়। মেয়র শোভন চট্টোপ্যাধায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দু’জনকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে ওই শ্মশানে কর্মরত সাব-রেজিস্ট্রার ও ইলেকট্রিশিয়ানকে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ দমদমের মাঠপুকুরের বাসিন্দার এক মহিলার মৃতদেহ ঢোকানো হয় শ্মশানের এক নম্বর ইলেকট্রিক চুল্লিতে। দাহ শুরু হওয়ার মাত্র পঁচিশ মিনিটের মধ্যে ওই চুল্লিতেই দমদম প্রমোদনগরের বাসিন্দা আর এক মহিলার দেহ ঢুকিয়ে দেন অভিযুক্তেরা।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় মহিলার পরিজনেরা জানতে পারেন, ওই চুল্লিতে আর একটি দেহ রয়েছে। হইচই শুরু করে দেন তাঁরা। শ্মশানে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। খবর পৌঁছয় স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের কাছে। তিনি ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার দেবাশিস সেনকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
দেবাশিসবাবুর রিপোর্ট পেয়েই পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ ওই দুই ডোমকে সাসপেন্ড করেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, ওই চুল্লিটিতে একসঙ্গে দু’টি দেহ দাহ করা হলেও সময়ের কিছুটা ব্যবধান থাকায় নিজের প্রিয়জনের ভস্মাবশেষ পেতে অসুবিধা হয়নি বাড়ির লোকেদের। যদিও ওই ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে কোনও মতেই আর না ঘটে, তার জন্য প্রতিটি শ্মশানের কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে বলে পুর-কমিশনার জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy