Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

নাবালিকা পাচারে অভিযুক্ত মা-বাবা

বাবা-মা মুর্শিদাবাদে নিয়ে গিয়ে তাকে বিক্রি করে দেবে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল বছর তেরোর এক নাবালিকা। প্রতিবেশী মহিলা মেয়েটির অভিযোগ শুনে বেসরকারি শিশু উদ্ধারকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে রবিবার রাতেই তারা কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতির কাছ থেকে লিখিত নির্দেশ নিয়ে পৌঁছয় বিধাননগর উত্তর থানায়। পুলিশের সাহায্য নিয়ে রাতেই মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় মেয়েটির বাবা-মাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০৩:২৫
Share: Save:

বাবা-মা মুর্শিদাবাদে নিয়ে গিয়ে তাকে বিক্রি করে দেবে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল বছর তেরোর এক নাবালিকা। প্রতিবেশী মহিলা মেয়েটির অভিযোগ শুনে বেসরকারি শিশু উদ্ধারকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে রবিবার রাতেই তারা কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতির কাছ থেকে লিখিত নির্দেশ নিয়ে পৌঁছয় বিধাননগর উত্তর থানায়। পুলিশের সাহায্য নিয়ে রাতেই মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় মেয়েটির বাবা-মাকে।

উদ্ধারের পর বছর তেরোর ওই নাবালিকা বেসরকারি সংস্থাকে অভিযোগে জানায়, সে সল্টলেকের একটি সরকারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। মা পরিচারিকার কাজ করেন এবং বাবা দিনমজুর। সম্প্রতি সে জানতে পারে তার বাবা-মা মুর্শিদাবাদে মামার বাড়ি থেকে তার বিয়ে ঠিক করেছেন। রবিবারই তাকে নিয়ে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার কথা ছিল। ওই নাবালিকা শিশু কল্যাণ সমিতিকে আরও জানিয়েছে, ওই মামা তার বাবা-মাকে বলেছিল, মেয়েকে বিয়ে দিলে ৩০ হাজার টাকা তারা পাবেন। মেয়েটিকে আবু-ধাবিতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বলে তার দাবি।

পুলিশ জানায়, সোমবার অভিযুক্ত ওই দম্পতিকে সল্টলেক আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর দুই মক্কেল মেয়ের বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেই আলোচনা শুনেই মেয়েটি ভুল বোঝে। পরে আদালত অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করে।

বাবা-মায়ের জামিন পাওয়ার পরে শিশু কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অমিত ভট্টার্চায পুলিশের ভূুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “আমরা নারী পাচার রোধ আইনে বাবা মাকে গ্রেফতার করার এবং মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে বলেছিলাম। এটি অজামিনযোগ্য। কিন্তু পুলিশ তা না দেখে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। এর জেরে মেয়েটির বক্তব্য যাচাইয়ে বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ রইল না।” যদিও সল্টলেকের এক পুলিশ কর্তার যুক্তি, বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটিকে বিক্রি কিংবা পাচারের কোনও তথ্য মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE