Advertisement
০৮ মে ২০২৪

কমিটি থেকে বাদ কৃষ্ণেন্দু ঘনিষ্ঠ

প্রাক্তন ছাত্র নেতাকে সরিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কমিটির সদস্য পদ দেওয়া হল ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল (বাবলা) সরকারকে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫১
Share: Save:

প্রাক্তন ছাত্র নেতাকে সরিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কমিটির সদস্য পদ দেওয়া হল ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল (বাবলা) সরকারকে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। মূল গেটেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

উপাচার্য গোপাল মিশ্র বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে দূরশিক্ষার কোর্স চালুর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” প্রসেনজিৎকে সরিয়ে দুলালবাবুকে উন্নয়ন কমিটিতে রাখার প্রসঙ্গে গোপালবাবু বলেন, “ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী পুরসভার একজন প্রতিনিধি উন্নয়ন কমিটিতে থাকে। পুরসভার তরফ থেকে দুলালবাবুর নাম দেওয়ায় তাঁকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিলে মোট ন’জন সদস্য রয়েছেন। তারমধ্যে এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আটজন। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত দু’দফায় বৈঠক চলে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপত্তা, পরীক্ষা ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তারমধ্যে উন্নয়ন কমিটি স্থানীয় সদস্য হিসেবে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন ছাত্রনেতা প্রসেনজিৎ দাসকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুলাল সরকারকে। এই নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন একদল ছাত্র-ছাত্রী। তাতে ওই প্রাক্তন ছাত্র নেতা আড়াল থেকে মদত দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই পড়ুয়াদের একাংশ এ দিনও বিক্ষোভ দেখাতে পারে বলে অনুমান করে জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “এ দিনের এক্সকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ সেই বৈঠক ভন্ডুল করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল।” প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দায়িত্ব পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’’দুলাল সরকার বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সেই ধারা যাতে বজায় থাকে সেই চেষ্টা করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE