Advertisement
E-Paper

ঘোরেই রয়েছেন কুশমণ্ডির নির্যাতিতা

এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করেছেন পুলিশকর্তারা। তার ভিত্তিতে দু’জনকে ধরাও হয়েছে। কিন্তু ওই যুবতী ঠিক করে কথা বলতে পারছেন না বলেই পুলিশের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ছ’দিন আগে তাঁর উপরে অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। তার পরে চিকিৎসা শুরু হতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। পরপর জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে। এর পরে দিন তিনেক কেটে গেলেও এখনও ঘোরের মধ্যেই রয়েছেন কুশমণ্ডির ওই নির্যাতিতা যুবতী। কথা বলতে পারছেন না। তাঁকে আইসিইউ-তেই রাখা হয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞরা জানান, যুবতীর অবস্থার উন্নতি হতে সময় লাগবে।

এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করেছেন পুলিশকর্তারা। তার ভিত্তিতে দু’জনকে ধরাও হয়েছে। কিন্তু ওই যুবতী ঠিক করে কথা বলতে পারছেন না বলেই পুলিশের দাবি। তারা জানিয়েছে, ঘটনার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ঘোরে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছেন।

একই কথা জানান মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। বুধবার কমিশনের তিন সদস্যকে নিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, নির্যাতিতা এক বার বলেন, ‘‘আমাকে ‘ও’ সিঁদুর দিয়েছে। আমি মামার বাড়িতে আর ওর বাড়িতেই থাকছিলাম।’’ আর এক বার জানান, ‘‘ওকে অন্য মেয়েরাও চায়। আমিও ওকে ভালবাসি। তাই আমি চাই না, ও শাস্তি পাক।’’ কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, মেয়েটির কথা অনেক ক্ষেত্রেই অসংলগ্ন, মনে হয়েছে তাঁদের। প্রচণ্ড অত্যাচার, জটিল অস্ত্রোপচারের ধাক্কায় সেটা অস্বাভাবিক নয়।

বিরোধীদের অভিযোগ, তদন্তে গতি নেই। যদিও পুলিশের তরফে দাবি, এই অবস্থায় নির্যাতিতাকে বেশি চাপ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি মাঝে মাঝে যা বলছেন, তা খতিয়ে দেখতেও কিছুটা সময় লাগছে।

Kushmandi rape Rape victim Hospital Recovery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy