Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৩

রাস্তা ধসে বিপত্তি ডায়মন্ড হারবারে

এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে, হুগলি নদীর ধারে ওই রাস্তায় প্রায় ৬০ মিটার লম্বা ও সাড়ে তিন মিটার চওড়া অংশে ধস নামে।

ধসে বেহাল রাস্তা। ডায়মন্ড হারবারে। ছবি: দিলীপ নস্কর।

ধসে বেহাল রাস্তা। ডায়মন্ড হারবারে। ছবি: দিলীপ নস্কর।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৯
Share: Save:

ডায়মন্ড হারবার শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ১১৭ নম্বর রাজ্য জাতীয় সড়কে ধস নেমে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিপর্যস্ত হল যান চলাচল।

এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে, হুগলি নদীর ধারে ওই রাস্তায় প্রায় ৬০ মিটার লম্বা ও সাড়ে তিন মিটার চওড়া অংশে ধস নামে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কাকদ্বীপ ও কলকাতার মধ্যে সড়ক পথে যোগাযোগ। দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিক এবং রাজনৈতিক নেতারা।

পূর্ত দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে ২০০৭, ২০১২ সালেও রাস্তার ওই অংশে বার তিনেক ধস নেমেছিল। দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এ দিন থেকেই জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে সেই কাজ শেষ করে রাস্তাটি ছোট গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পাকাপাকি কাজ শেষ করতে লাগবে দিন দশেক।

পূর্ত দফতরের কর্তারা জানান, আপাতত বালির বস্তা দিয়ে ভাঙা অংশ বোজানো হবে। তার উপরে পাথর ফেলে গাড়ি চলাচলের মতো একটা ব্যবস্থা করা হবে। পুরো সেই কাজে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে রাজ্য সেচ দফতর।

রাস্তার যে অংশটি ভেঙেছে, তার পাশেই গঙ্গার পাড়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সেই কাজের জন্যই রাস্তা ধসেছে। যদিও তা মানতে রাজি নন পূর্ত দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে গত কয়েক মাস ধরে। সমস্যা হলে তো আগেই ভাঙন হত।

কিন্তু তা হলে ধস নামল কেন?

পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ভাটার সময়ে নদীর জল অনেকটা নেমে যায়। তখন মাটিও টেনে নিয়ে যায়। আবার বড় জাহাজগুলি নদীর পাড় ঘেঁষে যাতায়াত করায় ঢেউ আছড়ে পরে ওই জায়গায়। এ সব কারণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, বুধবার রাতের ভরা কোটাল। সে সময়ে নদীর জল ফুলে উঠে তার ধাক্কায় রাস্তার ওই অংশে ধস নেমেছে।

সূত্রের খবর, মেরামতির জন্য নদীর পাড়ে প্রথমে লোহার বিম পুঁতে ‘শিট পাইলিং’ করা হবে। যাতে জল নেমে যাওয়ার সময়ে মাটি ধসে না যায়। এর পরে ‘স্টেপ সসেজ’ (পাহাড়ি রাস্তায় যে ভাবে ভাঙন আটকানো হয়) পদ্ধতিতে কাজ করে যে জায়গা পর্যন্ত ভাঙন হয়েছে, সেই অংশটি পুরো ভরাট করা হবে। পাশাপাশি রাস্তার নীচ দিয়ে বৃষ্টির জল বেরনোর ব্যবস্থাও রাখা হবে।

কিন্তু আপাতত বেশ কয়েক দিনের ভোগান্তি হবে স্থানীয় মানুষজনের। সড়কপথে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জে যেতে সমস্যায় পড়বেন পর্যটকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE