কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা নিয়ে সরকার বিরোধিতার দৌড়ে নামল বাম ও বিজেপি।
মেডিক্যাল কলেজ থেকে চার দিনের শিশু চুরির ঘটনা মঙ্গলবার বিকেলে জানাজানি হতেই ওই হাসপাতালে আন্দোলনের প্রতিযোগিতা পড়ে যায় লাল এবং গেরুয়া শিবিরের মধ্যে। প্রথমে বিজেপি-র কয়েক জন কর্মী-সমর্থকের ছোট মিছিল হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে উধাও হয়ে যায়। তার পরেই সেখানে পৌঁছন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি নিখোঁজ শিশুর দাদু রবি নস্করের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানেন। পাশেই কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নিখোঁজ শিশুর ঠাকুমা। তাঁকে জলও দেন সুজনবাবু। এর পর হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফের ফিরে আসে বিজেপি-র মিছিল। শিশুটির মা যে ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন, সেখানে উঠে যান লকেটরা। সেখানে বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন রোগীর পরিজনদের ‘বহিরাগত’ বা ‘তৃণমূল কর্মী’ বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। শিশু চুরির ঘটনায় এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন রোগীদের আত্মীয়রা। ওই সন্দেহের কথা শুনে বিজেপি কর্মীদের মারধর করেন তাঁরা। সুজনবাবুর অভিযোগ, ‘‘চোর এবং দালাল চক্র সরকারি হাসপাতালও ছেয়ে ফেলেছে! সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ যদি ওই শিশুকে খুঁজে বের করতে না পারে, তা হলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে।’’ আর লকেটের বক্তব্য, ‘‘হাসপাতালের কর্মীরা যুক্ত না থাকলে এ ভাবে শিশু চুরি সম্ভব নয়। ’’ রাতে ওই শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করে। তার পরেও এই দুই বিরোধী দলই জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে রোগীর এ হেন নিরাপত্তার অভাবের ঘটনা নিয়ে তারা কাল ফের বিক্ষোভ দেখাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy