নবমীর রাতে বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দশমীর সকাল পর্যন্ত তা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের আরও কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। মৌসম ভবন থেকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিঘা থেকে মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২১০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, গভীর নিম্নচাপটি প্রতি ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিবেগে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে থেকে উত্তর-উত্তরপূর্বে সরতে সরতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিজয় দশমীর দিনেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণের কয়েকটি জেলা। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তা ছাড়া কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া এবং হুগলি জেলার কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের উপর দিয়ে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আরও পড়ুন:
সাগর উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ‘হামুন’ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে বাঁক নেবে বলে মৌসম ভবন সূত্রে খবর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে। তবে তত ক্ষণে তা দুর্বল হয়ে আবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতার আকাশে রোদ দেখা দিলেও সারা দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও দু-’এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৪ ডিগ্রি এবং ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।