তৃণমূলের ইস্তাহার প্রকাশ। নিজস্ব চিত্র।
১০০ দিনের বদলে সারা দেশে কাজের নিশ্চয়তা প্রকল্প ২০০ দিন। পাশাপাশি তার দৈনিক পারিশ্রমিকও দ্বিগুণ চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী সরকার গঠনই এবারের লোকসভা ভোটের মূল স্লোগান তৃণমূলের। সেই সরকারের চেহারা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নিজের লক্ষ্য স্পষ্ট করতে বুধবার দলের ইস্তাহার প্রকাশ করলেন মমতা। দেশ জুড়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বদল চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘গরিব মানুষ আরও বেশি কাজ পাবেন। এবং উন্নয়নের কাজও এগোবে।’’ শুধু তাই নয়, দৈনিক মজুরির টাকাও ১৫ দিনের মধ্যে প্রাপকের হাতে পৌঁছতে চান তিনি। এছাড়াও মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েও তদন্তের কথা বলা হয়েছে তৃণমূলের ইস্তাহারে। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘দেশে-বিদেশে কার কাছে কত টাকা গিয়েছে দেখা হবে। কার স্বার্থে নোটবন্দি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তার তদন্ত করা হবে।’’ মোদী সরকার যে জিএসটি ব্যবস্থা চালু করেছে তা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলেও মমতা জানিয়েছেন।
তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ‘নীতি আয়োগ’-এর বদলে ‘প্ল্যানিং কমিশন’ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘নেতাজির ভাবনায় তৈরি প্ল্যানিং কমিশন’ তুলে দিয়েছে মোদী সরকার। আমিও দু’একটা বৈঠকে গিয়েছি। এই নীতি আয়োগ-এ কোনও কাজ হয় না।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, নীতি আয়োগের অর্থ বরাদ্দের কোনও ক্ষমতা নেই। তাই তা কোনওভাবেই কার্যকর নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তাহারে। মমতার কথায়, ‘‘সমাজের সব অংশের উন্নতির জন্যই ইস্তাহারে বলা হয়েছে।’’
তৃণমূলের পক্ষে দিল্লিতে এককভাবে সরকার গঠন সম্ভব নয়। তবে বিরোধী দলগুলিকে একমঞ্চে এনে অবিজেপি জোটকে বিশ্বাসযোগ্য করতে চেয়েছিলেন মমতাই। তবে ভোটের আগে বিরোধী জোটের তরফে যে কোনও ‘অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি’ প্রকাশ করা যাবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। তাই ভোটের আগে দলের ইস্তাহারেই নিজেদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘সব দলেরই নিজস্ব লক্ষ্য আছে। আমরা ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার স্লোগান দিয়েছি। সেই সরকার তৈরি হবে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতেই।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের ইস্তাহারকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘এ তো পুরভোটের ইস্তাহার। তাছাড়া, তৃণমূল সব মিলিয়ে কত আসনই বা পাবে!’’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘রাজ্যের সব আসন পেলেও দিল্লির নীতি নির্ধারণ করতে পারবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy