Advertisement
E-Paper

দেশপ্রেমের ডঙ্কা অমিতের

অমিত শাহ যখন এসে পৌঁছন, তখন সভা ঠাসা।

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৫৩
কৃষ্ণনগরে মঞ্চের পথে অমিত শাহ। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

কৃষ্ণনগরে মঞ্চের পথে অমিত শাহ। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অমিত শাহ যখন মঞ্চে উঠলেন, তখন মাথার উপরে জ্বলন্ত সূর্য। কাঠফাটা রোদ।

দলে থেকে দেওয়া হয়েছে পদ্মফুল আঁকা গেরুয়া টুপি। কিন্তু সেই টুপিতেও রোদ মানাচ্ছে না। দরদর করে ঘামছে মহিলা-পুরুষের দল। মঞ্চের সামনে বাঁশের ব্যারিকেডের ফাঁক দিয়ে এক মহিলাকে প্রশ্ন করা হল, “এই রোদের ভিতরে খালি মাথায় বসে আছেন। অসুস্থ হয়ে পড়বেন না?” রোদে পোড়া মুখে তিনি উত্তর দেন, “এ বার তো আমাদের কঠিন লড়াই। কষ্ট তো করতেই হবে!”

সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ অমিত শাহের সভা শুরু হওয়ার কথা প্রচার করেছিল বিজেপি। তার অনেক আগে থেকেই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকেরা এসে জড়ো হতে শুরু করেন কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে। অমিত শাহ যখন এসে পৌঁছন, তখন সভা ঠাসা। তার পরেও অবশ্য মাঠের বেশ কিছুটা ফাঁকাই থেকে গিয়েছে। বিজেপির দাবি, এ দিন সভায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। যদিও রাজ্যের গোয়েন্দাদের দাবি, সেই সংখ্যাটা ১০ থেকে ১২ হাজারের বেশি নয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অনেক আগে থেকেই সভামঞ্চে উপস্থিত হন বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার নেতারা। জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার থেকে শুরু করে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ছিলেন। আমন্ত্রণ পেয়ে এসেছিলেন রানাঘাট কেন্দ্রে প্রথমে টিকিট পেয়েও সরকারি চিকিৎসকের পদ থেকে ইস্তফা দিতে না-পারা মুকুটমণি অধিকারী। এরই মধ্যে মঞ্চের পিছন থেকে দেখা মেলে হেলিকপ্টারের। সেটি নামে শহরের বাইরে জাহাঙ্গিরপুরের সরকারি হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে একটা ২০ মিনিট নাগাদ অমিত শাহ যখন সভাস্থলে এলেন, মঞ্চে তখন বক্তৃতা করছেন কল্যাণ চৌবে। মাঝপথে তাঁর বক্তব্য থামিয়ে স্বাগত জানানো হয় অমিত শাহকে।

এ দিন গোড়া থেকেই স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে থাকেন বিজেপি সভাপতি। চড়া শুরু দেশের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। এক দিকে বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য তা প্রমাণ করতে সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিল করতে হবে। আবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বালাকোট হামলার কথা এনে নরেন্দ্র মোদী ‘৫৬ ইঞ্চি ছাতি’র কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

উত্তরবঙ্গে প্রচারে গিয়ে যা বারবার বলেছেন, এ দিনও তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন অমিত শাহ। বাংলাদেশে সীমান্ত লাগোয়া নদিয়া জেলায় এসে টেনে এনেছেন জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘‘নাগরিকত্ব বিল আনলাম আমরা। মমতাদি আটকে দিলেন। নরেন্দ্র মোদীর সরকার তৈরি করুন। শরণার্থীদের আমরা নাগরিকত্ব দেব। তার পর যে সব অনুপ্রবেশকারী আছে বাংলায়, তাদের এক-এক করে খুঁজে বার করব।’’

অমিত শাহ যত সুর চড়িয়েছেন, তত স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া কিন্তু মেলেনি সভার দর্শকদের থেকে। অমিত নিজে বারবার সকলকে আর্জি জানিয়েছেন গলা তুলতে। তবে সভার শেষে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে। উত্তর জেলা সভাপতি মহাদের সরকার দাবি করেন, “এটা শুধু কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সভা ছিল। আমরা যদি গোটা নদিয়া জেলা থেকে লোক নিয়ে আসতাম, তা হলে এই শহর জায়গা দিতে পারত না।”

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ Amit Shah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy