উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর বিধানসভার ভোটার তালিকায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের নাম রয়েছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায় রবিবার অভিযোগ করেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোসর অরবিন্দ কেজরীবালের পশ্চিমবঙ্গের শ্যামপুকুর বিধানসভায় ২২১ পার্ট নম্বরে ভোটার তালিকায় নাম আছে। সেখানে লেখা আছে, বাবার নাম কানাইলাল অগ্রবাল। ৬১৫ নম্বরে সুনীতা কেজরীবাল, তাঁর স্বামী অরবিন্দ কেজরীবালের নাম আছে। গাজিয়াবাদের ভোটার তালিকাতেও অরবিন্দের নাম আছে। তিন ক্ষেত্রে আলাদা এপিক নম্বর।’’
দু’দিন আগে দিল্লিতে বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা অরবিন্দ কেজরীবালের স্ত্রী সুনীতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, দিল্লির চাঁদনি চক, উত্তরপ্রদেশের সাহিবাবাদ ও পশ্চিমবঙ্গের শ্যামপুকুর, এই তিন জায়গায় ভোটার তালিকায় সুনীতার নাম রয়েছে। ফলে তাঁর কাছে তিনটি ভোটার পরিচয়পত্র রয়েছে। পূর্ব দিল্লিতে বিজেপি ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরকে প্রার্থী করার পর সেখানকার আম আদমি পার্টির প্রার্থী অতিশী মারলেনা
অভিযোগ তুলেছিলেন, গম্ভীরের দু’টি ভোটার পরিচয়পত্র রয়েছে। একটি করোল বাগে, আরেকটি রাজেন্দ্র নগরে। তাঁর মনোনয়ন বাতিলের জন্য চাপ বাড়িয়ে আদালতেও গিয়েছেন অতিশী। পাল্টা জবাবে বিজেপি কেজরীবালের স্ত্রী-র বিরুদ্ধে তিনটি ভোটার আইডি কার্ড রাখার অভিযোগ তুলেছিলেন। আম আদমি পার্টির নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের যুক্তি, ‘‘সুনীতার নাম বাতিল হলে গম্ভীরের নামও বাতিল হোক।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে কেজরীবালের স্ত্রী, তার পর কেজরিওয়াল! হারের ভয়ে বিজেপি এখন মাত্রাজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। কেজরীবাল তো লডছেন না। এখন বিতর্ক যখন উঠেছে, তখন গৌতম গম্ভীরের উচিত নির্বাচনে না লড়া।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জবাবে গৌতম গম্ভীর বলেছেন, ‘‘যাঁদের কোনও লক্ষ্য থাকে না, সাড়ে চার বছর সময়ে পেয়েও যাঁরা কিছু করে না, তাঁরা এমন অভিযোগ তোলে। সামনে সত্যিকারের কোনও দিশা থাকলে এ সব নেতিবাচক রাজনীতির প্রয়োজন পড়ে না।’’ অতিশী অবশ্য প্রতি-আক্রমণে গিয়েছেন পত্রপাঠ। পরের পর টুইট করে লিখেছেন, ‘‘সাড়ে চার বছরে আপের সরকার পূর্ব দিল্লিতে দু’টি নতুন আধুনিক প্রযুক্তি সমন্বিত উৎকর্ষ-বিদ্যালয়, দু’টি প্রতিভা-বিদ্যালয়, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং ২৫টি মহিলা ক্লিনিক বানিয়েছে। আরও ৩২টি ক্লিনিক তৈরির কাজ চলছে। আমি বলে দিলাম দিল্লিতে আপ কী কাজ করেছে। এ বার আপনারা বলুন, পূর্ব দিল্লির বিদায়ী সাংসদ মহেশ গিরি কী করেছেন এখানকার জন্য।’’ অতিশী মনে করিয়ে দিচ্ছেন, পাল্টা আক্রমণ করলেও দু’টি ভোটার আইডি রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেননি গম্ভীর।