—ফাইল চিত্র।
দুর্গাপুজো মিটতেই পুরোদমে নেমে পড়েছে বিজেপি। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে শনিবার মতুয়াদের সভায় গিয়ে নাগরিকত্ব প্রশ্নে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। একই দিনে গোসাবায় জনসভা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁরা লোকসভা ভোটে ২২টি নয়, ২৬টি আসন জিতবেন। এ দিনই আবার তাদের রথযাত্রায় তৃণমূল হামলা করতে পারে বলে আগাম আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এর আগে বিজেপি বলেছিল, লোকসভায় ২২টা আসন জিতবে। এখন বলছে ২৬টা! আকাশকুসুম কল্পনায় ওদের জুড়ি নেই।’’ আর হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিজেপিই বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করবে। তাই আগাম এ সব বলছে।’’
মতুয়া মহাসঙ্ঘের ‘বড়মা’ বীণাপাণি দেবীর শতবর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৫ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার দু’সপ্তাহ আগে এ দিন কৃষ্ণগঞ্জে মতুয়াদের সমাবেশে গিরিরাজ বলেন, ‘‘যত দিন সরকারে বিজেপি আছে, যত দিন নরেন্দ্র মোদী আছেন, মতুয়াদের কেউ কিছু করতে পারবে না। কেউ তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে না।’’ এ রাজ্যের মতুয়াদের বড় অংশ তৃণমূল সমর্থক। তাদের বিজেপিতে টানার উদ্দেশ্যে গিরিরাজ বলেন, ‘‘মতুয়া সমাজের কারণে বাংলায় ওদের (তৃণমূলের) সরকার হয়েছে। অথচ মতুয়াদেরই ধোঁকা দিচ্ছে ওরা। মতুয়ারা এর জবাব দেবেন।’’ জবাবে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘অসমে তো প্রায় ১২ লক্ষ মতুয়া আছেন। তাঁদের তাড়াচ্ছে কেন বিজেপি? ত্রিপুরা থেকে মতুয়াদের তাড়াচ্ছে কেন? এখানে এসে মতুয়াদের কিছু বুঝিয়ে লাভ নেই। মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন, থাকবেনও।’’
এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকে জনসভায় দিলীপবাবু দাবি করেন, ‘‘২০১৯-এর পর দূরবীণ দিয়ে খুঁজতে হবে রাজ্যের শাসক দলকে। যতই সন্ত্রাস করুক, জয়নগর লোকসভা আসন আমরাই জিতব। গোসাবায় আমরাই এগিয়ে থাকব।’’ বিজেপি ক্ষমতায় আসছে বলে দাবি করে দিলীপবাবুর আরও হুঁশিয়ারি, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাস হলে মেরুদণ্ড সোজা করুন। তৃণমূলের সরকারের হয়ে কাজ করলে ভুগতে হবে আগামী দিনে।’’
অন্য দিকে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের রথযাত্রায় তৃণমূল হামলা করতে পারে। তাই রথযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার দায়িত্ব আমাদের প্রাক্তন আইপিএসদের দেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রথযাত্রা পর্বে কলকাতায় দলের ১০ জন প্রাক্তন আইপিএস-কে নিয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। রথের যাত্রাপথে আক্রমণ এলে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নেওয়ার দায়িত্ব থাকবে প্রাক্তন আইপিএসদের উপর। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপির রথে কারও নজর নেই। ওরাই নজর কাড়ার জন্য বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূল রাজ্যের শাসক দল। ফলে উন্নয়নে বাধা সৃষ্টিকারী কোনও বিশৃঙ্খলা তৃণমূল করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy