Advertisement
E-Paper

পাঁচ দিনের বেশি আগে অনুমতির আর্জি নয়

কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল সর্বাধিক ১২০ ঘণ্টা বা পাঁচ দিন আগে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি চাইতে পারবেন। তার আগে তা চাওয়া যাবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নির্বাচনের সময় কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য ন্যূনতম ৪৮ ঘণ্টা আগে অনুমতি বা অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে হয় প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু সর্বাধিক কত দিন আগে থেকে সেই আবেদন করা যেতে পারে, তার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া ছিল না। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে সেই সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর। কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল সর্বাধিক ১২০ ঘণ্টা বা পাঁচ দিন আগে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি চাইতে পারবেন। তার আগে তা চাওয়া যাবে না।

সভা-সমিতি, মিছিল বা অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় নির্মাণ-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য অনুমোদনের বিষয়টি প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলের নাগালে আনতেই ‘সুবিধা অ্যাপ’ চালু করেছে কমিশন। সভা-সমিতি, মিছিলের জন্য সেখানেই আবেদন করেন প্রার্থী বা দল। ওই অ্যাপের মাধ্যমে এক-জানলা পদ্ধতি ব্যবহার করে অনুমোদন পান প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক শিবিরের ব্যাখ্যা, ন্যূনতম ক’দিন আগে সেই আবেদন করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল। কিন্তু সর্বাধিক কত দিন আগে সেই আবেদন করা যাবে, তার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি বলেই বিভিন্ন দল সেই সুযোগ নিয়ে অনেক আগে থেকে অনুমোদনের আবেদন জানিয়ে রাখছিল। এ বার তাতেই রাশ টানল রাজ্যের সিইও-র দফতর।

রাশ টানার দরকার পড়ল কেন?

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সময়সীমা না-থাকায় অনেক আগে থেকেই অনেকে আবেদন করে বিশেষ জায়গা আটকে রাখছিলেন। সর্বাধিক সময়সীমা বেঁধে দিলে কেউ অনেক আগে আবেদন করে জায়গা আটকে অন্যদের কর্মসূচি পালন থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। কোচবিহারে এমন চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ এসেছে। ২০ দিনের বেশি আগে আবেদন করে অনুমোদন নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা আটকে রেখেছে একটি দল। সর্বাধিক ১২০ ঘণ্টার সীমা বেঁধে দেওয়ার পরে আর কেউ সেই সুযোগ পাবেন না বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিকে, ভোটের আগেই সাধারণ মানুষ যাতে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের বিষয়টি বুঝে নিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করেছে কমিশন। আজ, মঙ্গলবার এবং কাল, বুধবার রাজ্যের ৭৮,৭৯৯টি বুথে বেলা ১১টা থেকে ইভিএম-ভিভিপ্যাট হাতেকলমে দেখে নিতে পারবে আমজনতা। সেই সঙ্গে সেক্টর অফিসের গাড়িতে সংরক্ষিত ইভিএম-ভিভিপ্যাটের উপরে নজরদারি চালাতে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ব্যবহার হবে। সেই বিষয়ে সেক্টর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী-অফিসারদের জন্য প্রয়োজনীয় মোবাইল এবং প্রশিক্ষণ দ্রুত শেষ করার জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সিইও-র দফতর।

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ ECI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy