বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
নির্বাচনের সকালে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আসানসোলের জেমুয়া। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের ঠেকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শেষমেশ নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তার পরই শুরু হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে জেমুয়ার ভাদুবালা স্কুলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।কিন্তু ভোট দিতে এসে বুথে রাজ্য পুলিশকে দেখে বেঁকে বসেন স্থানীয় মানুষ। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না হলে ভোট দেবেন না বলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বলে, বুঝিয়ে তাঁদের নিরস্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। বরং তার মধ্যেই স্থানীয় তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
দু’পক্ষের খণ্ডযুদ্ধে বুথ চত্বরে উত্তেজনা চরমে উঠলে খবরে পেয়ে সেখানে এসে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী এবংর্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ)। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। হস্তক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশনও। তার পরই শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
#WATCH Clash between TMC workers and security personnel at polling booth number 199 in Asansol. A TMC polling agent said, 'no BJP polling agent was present at the booth.' BJP MP candidate from Asansol, Babul Supriyo's car was also vandalised outside the polling station. pic.twitter.com/goOmFRG96L
— ANI (@ANI) April 29, 2019
আরও পড়ুন: ৪০ তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন! চাঞ্চল্যকর দাবি মোদীর, ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তৃণমূলের
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেমুয়ার পাঁচটি বুথেই এ দিন মাত্র এক জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন ছিলেন। অথচ গতকাল রাতেও বুথ এলাকায় দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাই সকালে এসে যখন দেখেন রাজ্য পুলিশ ভোট করাচ্ছে, ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে সুষ্ঠ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া মিটবে বলেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ইভিএম-এর বোতামে আতর! ভোট দিয়ে বেরোলেই আঙুল শুঁকছেন তৃণমূল কর্মীরা
এ দিন সাধারণ মানুষের সমর্থনেই মুখ খোলেন আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ সব বোঝেন। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তোলেন। এতেই ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ এ দিন সকালে ঝামেলার খবর পেয়ে বারাবনি বুথে ঢোকার পর আক্রান্ত হন বাবুল নিজেও। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। তৃণমূল সমর্থকরাই এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy