Advertisement
E-Paper

রক্তক্ষরণ রোখার দায় অলকেশের

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের এ বারের সিপিএম প্রার্থী অলকেশ ২০০৩ সালে তৎকালীন নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৫
প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ অলকেশ দাস

প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ অলকেশ দাস

বাম আমলে তিনি ছিলেন কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে বামেদের মুখ। কয়েক দিন আগেও দেশ জোড়া দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে শিমুরালিতে রেল অবরোধেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল সক্রিয় ভূমিকায়। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ সেই অলকেশ দাসই এখন কল্যাণী ও হরিণঘাটা কেন্দ্রে বামেদের রক্তক্ষরণ রোখার অন্যতম ভরসা।

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের এ বারের সিপিএম প্রার্থী অলকেশ ২০০৩ সালে তৎকালীন নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। পরের বছর আবার তিনিই ওই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে দল তাঁর উপরে ভরসা করে। কল্যাণী, গয়েশপুর পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্র। আবার হরিণঘাটা পুরসভা এবং দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে হরিণঘাটা বিধানসভা এলাকা। ৬ মে ভোট হবে সেখানে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, এই এলাকায় অলকেশ কি দলের ভোট বিজেপির চলে দিকে যাওয়া আটকাতে পারবেন?

বেশ কিছু দিন ধরেই নদিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, লোকসভা ভোটে সিপিএমের একটা বড় অংশের ভোট বিজেপিতে চলে যেতে পারে। বামকর্মীরা মন থেকে না চাইলেও শুধু তৃণমূলের উপরে আক্রোশে এবং তাদের বিভিন্ন কাজকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিজেপিকে ভোট দিতে পারে। এই জায়গায় অলকেশকে প্রার্থী করে দল সেই প্রবণতা অনেকটাই রুখে দিতে পারে মনে করছেন নেতারা। কেননা ব্যক্তিগত প্রভাব ও পরিচিতি ব্যবহার করেই তিনি সাধারণ কর্মীদের ভাঙা মনোবল জোড়া দিতে পারবেন বলে নেতাদের আশা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অলকেশও দাবি করছেন, বিজেপি চেষ্টা করলেও তাঁদের ভোটে ভাগ বসাতে পারবে না। বরং তৃণমূলের ভোট কাটতে পারে তারা। শনিবার অলকেশ বলেন, ‘‘আমারা আমাদের ভোট আটকে রাখবই। উল্টে তৃণমূলের ভোট বিজেপিতে চলে গেলে আমাদের জেতার সম্ভাবনা পাকা হয়ে যাবে। পরিস্থিতি সেই দিকেই এগোচ্ছে।”

হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল দেবনাথ পাল্টা বলেন, ‘‘বাম আমলে অলকেশ দক্ষ সংগঠক হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু এখন নন। তিনি প্রার্থী হওয়ায় আমাদের কোনও লাভ-ক্ষতি হবে না। আমার এখান থেকে ৫০ হাজার ভোটে লিড দেব।” কার্যত একই সুরে কল্যাণী ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন মণ্ডলও দাবি করেন, “বিজেপি আর সিপিএম কে কার ভোট কাটল, সেটা বড় কথা নয়। আমাদের ভোট কমবে না। আমরা বরং আরও বেশি জিতব। ওরা দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই করছে।” শুক্রবার দক্ষিণ চাঁদামারি এলাকায় সিপিএমের ৫০টি পরিবার তাঁদের দলে যোগ দিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি জগন্নাথ সরকার আবার দাবি করছেন, ‘‘মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, কাকে ভোট দেবে। সবাই জানে সিপিএম জিতবে না। তাই ওদের ভোট দিয়ে কোনও লাভ নেই। সিপিএমে কে দাঁড়াল, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়েও তাই লাভ নেই।’’

CPM Alokesh Das Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy