Advertisement
E-Paper

পদমর্যাদা মেনে শিক্ষকদের কাজ দিতে হবে ভোটে

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে তাঁর পদমর্যাদার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে ভোটের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নথি পেশ করা হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

লোকসভার নির্বাচনে পদমর্যাদা অনুযায়ী ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না এবং তুলনায় নিম্ন স্তরের কর্মীদের অধীনে তাঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছে বলে শিক্ষক শিবিরের একাংশের অভিযোগ। তবে সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা তার কোনও প্রমাণ এখনও দিতে পারেননি আদালতে। কিন্তু কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে তাঁর পদমর্যাদার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে ভোটের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নথি পেশ করা হল।

ওই নথিপত্র দেখে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এ দিনই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন, শিক্ষকদের যাতে পদমর্যাদার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে ভোটের ডিউটি দেওয়া না-হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনে কাজ দিতে হলে তা দিতে হবে তাঁদের পদমর্যাদা মেনেই।

শিক্ষকদের একটি অংশ ভোটের কাজে যেতে অনীহা প্রকাশ করে আসছেন বরাবরই। অনেক শিক্ষক জানান, যথাযথ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত না-হলে ভোটের কাজ করা সম্ভব নয়। আবার কিছু শিক্ষকের অভিযোগ, পদমর্যাদায় নীচের কর্মীদের অধীনে তাঁদের ভোটের কাজ দেওয়া হচ্ছে। এ ভাবে কাজ করতে রাজি নন তাঁরা। রানিগঞ্জের ত্রিবেণীদেবী ভালোটিয়া কলেজ, কালিয়াগঞ্জ কলেজ, দুর্গাপুরের মাইকেল মধুসূদন কলেজ, সিদো-কানহু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০-৬০ জন শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তাঁদের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় ও দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই শিক্ষকেরা ভোটের করতে অরাজি নন। কিন্তু ভোটের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন, গ্রুপ-ডি পদের কর্মীদের প্রিসাইডিং অফিসারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই শিক্ষকদের অনেককেই প্রথম পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ (তাঁদের পদমর্যাদার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদ) দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা জানান, এর আগের শুনানিতে বিচারপতি বসাক নির্দেশ দিয়েছিলেন, শিক্ষকদের পদমর্যাদার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কয়েকটি প্রমাণ আদালতে পেশ করতে হবে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শিক্ষকদের আইজীবীরা এ দিন আদালতে জানান, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আজাজুল আলি খান প্রথম পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। অথচ সিদো-কানহু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ-ডি (টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) পদের এক কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের। এমন উদাহরণ আরও রয়েছে বলে আদালতে জানান আইনজীবীরা।

সেই নথি দেখে বিচারপতি বসাক নির্বাচন কমিশনের কৌঁসুলি দীপায়ন চৌধুরীকে নির্দেশ দেন, শিক্ষকদের পদমর্যাদার চেয়ে কম গুরুত্বের পদে ভোটের কাজ দেওয়া যাবে না।

লোকসভা ভোট ২০১৯ Lok Sabha Election 2019 Election Duty
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy