বাড়ান হল কেন্দ্রীয় বাহিনী।—ফাইল চিত্র।
চতুর্থ দফার ভোটে ৯৮ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরেও হিংসা আটকানো যায়নি। বিভিন্ন কেন্দ্রে তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি প্রাণহানিও ঘটেছে। পঞ্চম দফার নির্বাচনে এই ধরনের হিংসার ঘটনা রুখতে তাই তত্পর নির্বাচন কমিশন।
এক দিকে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তেমনই ভোটে কোথাও গোলমালের খবর পেলে যাতে সেখানে দ্রুত পৌঁছনো যায়, তার জন্য ‘কুইক রেসপন্স টিম’-এর সংখ্যাও অনেকটা বাড়িয়ে ১৪২টি করছে কমিশন।
এ রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের এই ‘রণকৌশল’ পঞ্চম দফার সাতটি কেন্দ্রে কাজ করে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে রাজনৈতিক হিংসা রুখতে এ বার অনেকটাই আটঘাট বেঁধে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: মোদীর বিভাজন তত্ত্ব ওড়ালেন মায়া, অমেঠী, রায়বরেলীতে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার বার্তা
কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চম দফায় উলুবেড়িয়া, হাওড়া, শ্রীরামপুর, বনগাঁ, আরামবাগ, ব্যারাকপুর এবং হুগলি কেন্দ্রে মোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৭৮ কোম্পানি করা হয়েছে। প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকবেন। বুথ কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশের কোনও কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন না। তাঁরা এলাকার আইনশৃঙ্খলা এবং পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাবেন। তাঁরা যাতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, এ বিষয়েও কড়া নজর রাখবে কমিশন।
ভোটের সময় কোনও গোলমালের খবর পেলেই সেখানে যাতে কুইক রেসপন্স টিম দ্রুত পৌঁছতে পারে, সে জন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ব্যারাকপুর কেন্দ্রটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিশেষ তত্পর। শুধু এই কেন্দ্রটির জন্যই ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আবার ২০টিরও বেশি কুইক রেসপন্স টিম থাকছে। পাশাপাশি আরামবাগ এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্র দু’টিতেও কমিশন বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গে দু’বার কথা বলতে চেয়েছিলেন মোদী! সাড়া মেলেনি, দাবি পিএমও-র
সোমবার পঞ্চম দফার নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৮৯ জন। তার মধ্যে বনগাঁয় ১৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৬৩, ব্যারাকপুরে ১৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৭৬, হাওড়াতে ১৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ২০১, উলুবেড়িয়াতে ১৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৯, শ্রীরামপুরে ১৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৮৬, হুগলিতে ১৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ২২৯, আরামবাগ ১৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৯৫ ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এক দিকে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কুইক রেসপন্স টিমের নজরদারি থাকবে, তেমনই ‘মিডিয়া ওয়াচ’-এর মাধ্যমে কমিশনও গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে। পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপও করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy