সাবিত্রী মিত্র।
মন্ত্রিত্ব নেই। হতে পারেননি বিধায়কও। গত বিধানসভা ভোটের সময়ে জেলারই আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ নিয়ে শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। তবুও সেই গনির আমল থেকে মালদহের রাজনীতিতে এখনও প্রাসঙ্গিক সাবিত্রী মিত্র। সূত্রের খবর, এ বারে সেই সাবিত্রীর ঘাড়েই দায়িত্ব বর্তেছে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিতিয়ে আনার। মালদহ জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন তাঁকেই।
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসে ২০১১ সালে মানিকচক বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হন সাবিত্রী মিত্র, পান মন্ত্রীত্বও। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান। আর এই হারের দায় নিয়ে দলেরই আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে তার বিরোধ চরমে ওঠে বলে খবর। সেই বিরোধের কথা পৌঁছয় খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। শেষ পর্যন্ত নেত্রীর হস্তক্ষেপে সেই বিরোধ মেটে। এখন দলীয় রাজনীতিতে সাবিত্রী-কৃষ্ণেন্দু কাছাকাছি বলেই ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল সাবিত্রীকে মানিকচক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করে। মানিকচক ব্লকে ত্রিস্তরের পঞ্চায়েতে দলের ভাল ফলও হয়। এ বারে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা আসনের চেয়ারম্যান তিনিই। দলীয় সূত্রেই খবর, দায়িত্ব পেয়ে তিনি ইংরেজবাজারে এই লোকসভা এলাকায় থাকা সাতটি ব্লক ও একটি পুরসভার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেন এবং এই লোকসভা কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ ও সাতটি ব্লকের একটি করে নির্বাচন কমিটি গঠন করে দেন। এছাড়া দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রের দলীয় প্রচার কমিটির আহ্বায় করা হয়েছে কৃষ্ণেন্দুকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিন কয়েক আগেই প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়ে তিনি হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করেন নিজের খাসতালুক মানিকচকের নুরপুর, নাজিরপুর, মথুরাপুরের মতো বিভিন্ন এলাকায়। এ ছাড়া প্রতিদিনই করছেন কর্মিসভাও। সাবিত্রী বলেন, ‘‘দক্ষিণ মালদহ আসন থেকে মোয়াজ্জেম সাহেবকে আমাদের জিতিয়ে আনতেই হবে। আজ মনোনয়ন দেওয়া হল। এ বার প্রচারের গতি আরও বাড়বে।’’
দলে দ্বন্দ্ব রয়েছে কি? “আমরা আমাদের প্রার্থীকে জেতাতে নেমে পড়েছি। এখানে দ্বন্দ্বের কোনও জায়গা নেই’’, সাফ জবাব সাবিত্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy