Advertisement
০২ মে ২০২৪

ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ভেঙেই প্রার্থী রাখল আরএসপি

রাজ্যের ৪০টি আসনে প্রার্থী দিলেও মালদহ দক্ষিণ ও বহরমপুর কেন্দ্র ছেড়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বামফ্রন্ট।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৮
Share: Save:

বামফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েই বহরমপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী রেখে দিল আরএসপি। সিপিএমও জানিয়ে দিল, ওই কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী ঈদ মহম্মদকে কোনও ভাবেই ‘বামফ্রন্ট সমর্থিত’ বলা যাবে না। বহরমপুরে সিপিএমের সমর্থন থাকবে কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরীর দিকেই। এই টানাপড়েনের জেরে ভোটের পরে বামফ্রন্টে ভাঙন ধরবে কি না, সেই জল্পনাই এখন প্রবল।

রাজ্যের ৪০টি আসনে প্রার্থী দিলেও মালদহ দক্ষিণ ও বহরমপুর কেন্দ্র ছেড়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বামফ্রন্ট। প্রথমে রাজি থাকলেও পরে আরএসপি বেঁকে বসে বহরমপুরে প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখে প্রচারে নেমে পড়ে। আরএসপি-র রাজ্য নেতৃত্বও তাঁদের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেন। কিন্তু আলিমুদ্দিনে ক্ষিতি গোস্বামী, মনোজ ভট্টাচার্যদের ডেকে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা অনুরোধ করেন প্রার্থী না দিতে। বামফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তাঁরা কিছু করবেন না বলে বিমানবাবুদের জানিয়ে এসেছিলেন ক্ষিতিবাবুরাও। অথচ তার পরেও ঈদ মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল শুক্রবার। আরএসপি প্রার্থী মনোনয়ন তোলেননি।

বহরমপুরে আরএসপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার খবর পেয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ওই শরিক দলের সাধারণ সম্পাদক ক্ষিতিবাবু, রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীর সঙ্গে দফায় দফায় ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, জেলা কমিটি থেকে ওই আসনে লড়াই করার দাবি উঠলেও আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক কেন প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওযার ফর্‌ম-বি সই করে দিলেন? তা হলে কি বামফ্রন্ট ভেঙে গেলই ধরে নিতে হবে? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর আরএসপি নেতৃত্বের কাছে পাওয়া যায়নি বলে সিপিএম সূত্রের বক্তব্য।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ক্ষিতিবাবুর বক্তব্য, ‘‘জেলা পার্টির আবেগ ও যুক্তিকে আমরা অগ্রাহ্য করতে পারিনি। পরিস্থিতির চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’ পক্ষান্তরে বিমানবাবুর সাফ কথা, ‘‘এটা বামফ্রন্টের সিদ্ধান্ত নয়। বামফ্রন্ট ওখানে প্রার্থী দেয়নি। বহরমপুরে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী বলে প্রচার করা চলতে পারে না।’’ সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের সংযোজন, ‘‘মালদহ দক্ষিণেও প্রার্থী দেওয়ার চাপ ছিল আমাদের দলের একাংশের মধ্যে থেকে। ওখানে নির্দল প্রার্থী হয়ে এক জন দাঁড়িয়েছেন শুনেছি। দলীয় প্রতীক দেওয়া তো হয়ইনি, ওই প্রার্থী দলের সদস্য হলে তাঁকে বহিষ্কারও করা হবে।’’ বাম শিবিরের বক্তব্য, বহরমপুরের ঘটনার জেরে ২০২১ সালে বামফ্রন্টের মধ্যে আসন বণ্টনে প্রভাব পড়তে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE