রায়গঞ্জে যদি প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্মৃতি জড়িত থাকে, বহরমপুরেও তা হলে ত্রিদিব চৌধুরীর পরম্পরা আছে! সৌজন্যের বার্তা সরিয়ে রেখে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি খাড়া করে এ বার বহরমপুরেও লড়াই করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল বাম শরিক আরএসপি।
লোকসভা ভোটের মরসুমে গোটা দেশেই কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের বোঝাপড়ার এখন দফারফা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বামফ্রন্টের সিদ্ধান্ত উল্টে দিয়েইবেলচা-কোদাল প্রতীকে প্রার্থী ইদ মহম্মদের নামে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানা প্রান্তে দেওয়াল লিখতে শুরু করে দিয়েছে আরএসপি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শরিক দলের এই সিদ্ধান্তে সায় আছে মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএমও।আরএসপি-র রাজ্য নেতৃত্ব এর পরে তাঁদের ওই সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিনে রাজ্য বামফ্রন্টের কাছে নিয়ে যাবেন আনুষ্ঠানিক সিলমোহরের জন্য।
রাজ্যের ৪০টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বামফ্রন্টের। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব ভোটকে একত্রিত করার ‘সদিচ্ছা’র বার্তা দিতে অধীর চৌধুরীর বহরমপুর ও আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরীর মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বামফ্রন্ট। জেলা আরএসপি নেতৃত্বকে প্রথমে নিরস্ত করেছিলেন দলের রাজ্য নেতারা। কিন্তু কেরলে বামেদের বিরুদ্ধে স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দুই শিবিরের সমীকরণের আরও অবনতি হয়েছে। আরএসপি নেতৃত্ব এখন বলছেন, পাশের মুর্শিদাবাদ সিপিএমের জেতা আসন হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। তা হলে বহরমপুরেই বা বামেরা প্রার্থী দেবে না কেন?