ছবি: এপি।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসুকে সরানো এবং অন্য কয়েকটি দাবিতে কয়েক দিন আগে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাবেক ঘরের মেঝেতে ধর্নায় বসেছিলেন রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়-সহ বিভিন্ন নেতা। মঙ্গলবার ফের তাঁর বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘ভোটের কোন দফায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন সঞ্জয়বাবু। তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে বাহিনীর সংখ্যা কমিয়ে বলছেন, যাতে ভোটারদের মনোবল ভেঙে যায়। এবং যাতে তাঁরা অশান্তির ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ঝুঁকি না-নেন।’’
দ্বিতীয় দফায় বাহিনী ব্যবহার নিয়েও অতিরিক্ত সিইও ভুল তথ্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রাহুলবাবুর। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ইসলামপুরে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে দুই বাংলাদেশি অভিনেতার প্রচার নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে বিজেপি। সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের মন্তব্য, ‘‘আমাদের অভিযোগ সত্ত্বেও প্রথমে সঞ্জয়বাবু বলেছিলেন, কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। পরে তিনি বলেছেন, বিদেশি নাগরিকের এ দেশে ভোটের প্রচার নিষিদ্ধ, এমন কথা নির্বাচনী বিধিতে নেই। ওঁর এটুকু বোধশক্তিও নেই যে, এমন ঘটনা অসম্ভব বলেই তা নিয়ে নির্বাচনী বিধিতে লেখা নেই। দেশে এমন ঘটনা তো এই প্রথম ঘটল!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাহুলবাবুর মতে, ওই কথা বলে সঞ্জয়বাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর পদের অযোগ্য। বিজেপির অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি সঞ্জয়বাবু। এই সংক্রান্ত অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছি।’’
মুকুলবাবুদের ধর্না নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন সদনে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন সিইও। পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। এই রিপোর্ট নিয়ে সঞ্জয়বাবু বলেন, এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। মিডিয়া সার্টিফিকেশন এবং মনিটরিং কমিটির দায়িত্বের পাশাপাশি নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক থেকে সঞ্জয়বাবুকে সরানোর দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতারা। সিইও দফতরের তরফে সঞ্জয়বাবুই নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy