দশাসই মালা দিয়ে সংবর্ধনা-পর্ব সবে শেষ হয়েছে। মঞ্চে দীপা দাশমুন্সিকে দেখতে পেয়ে ডেকে নিলেন কংগ্রেস সভাপতি। ডেকে বসালেন পাশের চেয়ারে। কথা সেরে দীপা উঠে যেতেই ডাক পড়ল আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরীর।
চাঁচলে কংগ্রেসের সমাবেশের মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে শনিবার বামেদের সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়ার প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি রাহুল গাঁধী। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের নেতাদের কাছ থেকে কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি জানতে চেয়েছেন, কেন হল না আসন সমঝোতা? একা লড়ে বাংলায় কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই প্রশ্নও নেতা-নেত্রীদের কাছে তুলেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁদের কাছে ইঙ্গিত দিয়েছেন, লম্বা ভোট-পর্বের মধ্যে প্রচারে ফের রাজ্যে আসার চেষ্টা করবেন।
সিপিএমের গত বারের জেতা রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন ছেড়ে দিয়ে বামেদের সঙ্গে সমঝোতায় এগোতে প্রদেশ কংগ্রেসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু মালদহে এ দিন যখন তিনি পা রাখছেন, তত দিনে পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে! দলীয় সূত্রের খবর, দীপার কাছে রাহুলের প্রশ্ন ছিল, রায়গঞ্জে সমস্যা কী? দীপা তাঁকে জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রের সঙ্গে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্মৃতি এবং কংগ্রেস কর্মীদের আবেগ জড়িত। তবুও সভাপতির কথায় তাঁরা রায়গঞ্জ সিপিএমকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রফার আলোচনায় যখন দেখা গেল বামেরা মালদহের উপরে উত্তরবঙ্গে একটা আসনও কংগ্রেসকে ছাড়ছে না, তখন দলের অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নেই তাঁরা পিছিয়ে এসেছেন। রাহুলের জিজ্ঞাস্য ছিল, রায়গঞ্জে কংগ্রেস জিতবে? দীপা জানিয়েছেন, কঠিন লড়াই। তবে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।