রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-নজরুল ইসলাম-স্বামী বিবেকানন্দ—‘দিদির ক্লাসে’ ঘুরেফিরে এল সব প্রসঙ্গই। এল নিজের লেখা বইয়ের প্রসঙ্গও। মানসিক অবসাদ কাটাতে বই যে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তাই পেলেন রাজ্যের পড়ুয়ারা।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স, আলিম, ফাজিল এবং হাই মাদ্রাসার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রত্যেককে উৎসাহিত করতে ল্যাপটপ, মেডেল, ব্যাগ, কফি মাগ, পেন, ডায়েরি, হাতঘড়ি এবং শংসাপত্র দেয় রাজ্য সরকার। আর ছিল প্রায় ৪০টি বই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ এবং সুভাষচন্দ্র বসুর লেখা বই ছাড়াও ছিল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা অনেকগুলি বই।
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রবীন্দ্র-নজরুল-বিবেকানন্দ আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। তাই তাঁদের সব বই রয়েছে। আমার একটা বই রয়েছে ‘কবিতা বিতান’। ওই একটা বইতেই সাড়ে সাতশোর বেশি কবিতা রয়েছে। তাতে যত পাখির নাম, সব পাওয়া যাবে। জঙ্গলে গিয়ে এ সব সংগ্রহ করেছিলাম। বাংলায় অনেক নদ-নদীর নাম অনেক জায়গায় পাওয়া যাবে না, কিন্তু আমার বইতে পাওয়া যাবে। বহু ধরনের গাছ রয়েছে। ফলে গোটা বাংলাটাই পাওয়া যাবে।’’
মানসিক চাপ কাটাতে গল্প, ঘোরা-ফেরা, বাড়িতে মায়ের কাছে রান্নার খোঁজ নেওয়া, বেড়াতে যাওয়া বা গান শোনার পরামর্শও দেন মমতা। মমতার কথায়, ‘‘জীবনে হতাশ হবে না। দুঃখ-বাধা জয় করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। নেতিবাচক ভাবনা আমাদের ব্রেনের কোষগুলোকে নষ্ট করে। মনে রাখবে, আমরা যখন রেগে যাই বা চিৎকার করি, তখন অনেক কোষ নষ্ট হয়। ব্রেনে অজস্র কোষ রয়েছে। কত রয়েছে, তা আবিষ্কার করা যায়নি।’’