Advertisement
E-Paper

হিন্দিভাষীদের পাশে থাকার বার্তা মমতার

এ রাজ্যে হিন্দিভাষী ভোটারদের কাছে পৌঁছতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয়। এর আগে তিনি কলকাতায় বিহারিদের সম্মেলনে গিয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় হিন্দিভাষীদের কাছে পৌঁছেছেন। দু’দিন আগেই পুরুলিয়ায় হিন্দিভাষীদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪৪
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

এ রাজ্যে হিন্দিভাষী ভোটারদের কাছে পৌঁছতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয়। এর আগে তিনি কলকাতায় বিহারিদের সম্মেলনে গিয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় হিন্দিভাষীদের কাছে পৌঁছেছেন। দু’দিন আগেই পুরুলিয়ায় হিন্দিভাষীদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন।

বৃহস্পতিবার আসানসোল লোকসভার জামুরিয়ার সভাতেও বক্তৃতার একটি বড় অংশ ছিল হিন্দিভাষীদের উদ্দেশে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি অসমে বাঙালি খেদাও করছে, গুজরাত থেকে বিহারি খেদাচ্ছে। বাংলায় আমরা এ সব হতে দেব না। এই দেশটাকে টুকরো টুকরো হতে দেব না। বাংলায় সকলে নিরাপদে থাকতে পারেন।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘হিন্দুস্তানের একটাই জায়গা বাংলা, যেখানে বাঙালি ও হিন্দিভাষী এক সঙ্গে একজোট হয়ে থাকি। শুধু ভোটের জন্য বাঙালি-হিন্দি ভাগ বাটোয়ারা করি না। এটাই আমাদের দেশের পরম্পরা।’’

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্যের হিন্দিভাষী ভোট যাতে নিজেদের দিকে ধরে রাখা যায় সে কারণেই বিভিন্ন সভায় বার বার তাঁদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, রাজ্যে অবাঙালি ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ। যার মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ হিন্দিভাষী ভোট। আর এ দিন যে আসানসোলে তিনি সভা করেন, সেখানে হিন্দিভাষী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৫ শতাংশ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তৃতার সিংহ ভাগই ছিল হিন্দিভাষীদের উদ্দেশে। বক্তৃতায় বারংবার তিনি হিন্দিতে কথাও বলেন।

রাজ্যে হিন্দিভাষীদের সুযোগ সুবিধার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ধানবাদের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘ওখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, বিজেপি কী করেছে? দাঙ্গা-ফ্যাসাদ ছাড়া কিচ্ছু করেনি। ওরা আসানসোলেও ঝঞ্ঝাট পাকায়।’’ এর পরেই তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি কখনও কখনও মাথায় ফেট্টি বেঁধে সীমানা পেরিয়ে এক হাতে ঝান্ডা, আর এক হাতে ডান্ডা নিয়ে গুন্ডাগিরি করে।’’

জবাবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘বাইরে থেকে লোক এসে এ রাজ্যে অশান্তি ছড়ালে পুলিশ কিছু করছে না কেন? প্রশাসন কি এতই অপদার্থ?’’

বুধবার পুরুলিয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁর দল। এ দিন জামুরিয়ার সভায় তা আরও একবার স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ঝাড়খণ্ডেও নির্বাচনে প্রার্থী দেবেন তাঁরা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এক সময় বাংলা-বিহার সব একই রাজ্যে ছিল। কলকাতা ছিল রাজধানী। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলো যাতে ভাল থাকে, সেটা দেখাও আমাদের কর্তব্য।’’

Administrative Meeting Purulia Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy