Advertisement
E-Paper

পাহাড়ে মন্ত্রিসভা বসাচ্ছেন মমতা

সত্তরের দশকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ও মন্ত্রীদের জেলায় নিয়ে গিয়ে বৈঠক বসাতেন। তার পরে ফের কলকাতার বাইরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে চলেছেন মমতা। সাম্প্রতিক নজির রয়েছে বিহারে। পটনার বাইরে রাজগিরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন নীতীশ কুমার। তবে সে-ও এক বারই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০৫:০৫

জেলায় ঘুরে প্রশাসনিক বৈঠক চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রেওয়াজ এখনও চলছে। এ বার পাহাড় ও জঙ্গলমহলে মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন মমতা। প্রথম বৈঠকটি হবে জুনের ৮ তারিখ, দার্জিলিঙে। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ কথা জানান।

সত্তরের দশকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ও মন্ত্রীদের জেলায় নিয়ে গিয়ে বৈঠক বসাতেন। তার পরে ফের কলকাতার বাইরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে চলেছেন মমতা। সাম্প্রতিক নজির রয়েছে বিহারে। পটনার বাইরে রাজগিরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন নীতীশ কুমার। তবে সে-ও এক বারই।

সব কিছু ঠিক থাকলে ৪ দিনের সফরে আগামী ৫ জুন মমতা কলকাতা থেকে পাহাড়ে পৌঁছবেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এ বার থেকে বছরে দু’টো করে মোট চারটে বৈঠক হবে পাহাড় ও জঙ্গলমহলে। প্রথম বৈঠক পাহাড়ে, ৮ জুন।’’ এই গরমে পাহাড়ে পর্যটনের ভরা মরসুম। বহু বিদেশি পর্যটকও এই সময় ভিড় জমান দার্জিলিঙে। মন্ত্রীদের পাহাড়ে আসা যাওয়া ও থাকার ফলে পর্যটকদের যাতে অসুবিধে না হয়, সে ব্যাপারে তাঁর সরকার সতর্ক বলে এ দিন জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘পর্যটকদের কোনও অসুবিধে হোক চাই না। তাই মন্ত্রীদের শিলিগুড়িতেই থাকতে হবে। বৈঠকের দিন তাঁরা পাহাড়ে উঠবেন।’’

আরও পড়ুন: অধিকারে হাত, সরব মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, দার্জিলিঙে তাঁর আলাদা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি সেখানেই থাকবেন। সেখানকার রাজভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক হলে ওই ভবনের বেশ কিছু ঘর তিনি সিনিয়র মন্ত্রীদের বরাদ্দ করতে পারবেন। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় চার জন মহিলা সদস্য রয়েছেন। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হবে কার্শিয়াঙে। ‘‘তবে পর্যটকদের অসুবিধে না-করে কোনও মন্ত্রী যদি পাহাড়ে বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে থাকতে পারেন, তা হলে আপত্তি নেই’’— বলেছেন মমতা।

প্রথম দফার পাঁচ বছরে জেলায় ঘুরে ১০০-এর মতো প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মমতা। বিরোধী নেতারা আগাগোড়াই এই সিদ্ধান্তকে চমক বলে অভিযোগ করে আসছেন, এতে কাজের কাজ কিছু হয় না। প্রশাসনিক বৈঠকের ম্যারাপ বাঁধতেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। আসলে ঢাক পিটিয়ে প্রচার করাই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য।

তবে জেলায় গিয়ে বৈঠক করায় যে উন্নয়নের কাজ গতি পেয়েছে— তা মানছেন দফতরের সচিব-অফিসার থেকে বিধায়ক-সাংসদ সকলেই। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জেলায় গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির খোঁজ নেন। সচিবেরা তাঁকে বিস্তারিত বিবরণ দেন। সেই বিবরণে কোনও ফাঁক থাকলে ধরিয়ে দেন জনপ্রতিনিধিরা। সুতরাং কাজে ফাঁকি দেওয়ার উপায় থাকে না।’’

Mamata Banerjee মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Meeting Ministers Hills
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy