বাংলায় নির্বাচন কবে?
জনতার সম্মিলিত উত্তর শোনা গেল না স্পষ্ট ভাবে। প্রশ্ন কর্তাই এ বার উত্তর দিয়ে দিলেন।
আগামী বছর।
এর পর ফের তাঁর প্রশ্ন, ‘‘জিতবেন তো?’’
উত্তর শোনা না গেলেও তাঁর কাছে ‘হ্যাঁ’ জবাবই এল বোধহয়। কারণ, এর পরই প্রশ্নকর্তা জানিয়ে দিলেন, ‘‘নির্বাচনের পর এমন একটা সভা করব। এ বারের সভা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ওই সভায় এই রেকর্ডও ভাঙতে হবে।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘মানুষের ব্রিগেড, ব্রিগেডেই হবে।’’ আর এ ভাবেই কর্মী-সমর্থকদের ভেতর আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবারের সভায় তিনি বার বার বিরোধীদের দিকে নানা অভিযোগের আঙুল তোলেন। কখনও বামেদের ৩৪ বছর, তো কখনও বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি— আর সবের সঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের নাম। তাঁর দাবি, কাজ করে দেখাচ্ছে রাজ্য। তাই বাংলা জুড়ে হিংসা করছে। তাঁর কথায়: ‘‘সিপিএম নিজের চেহারা দেখতে পায় না। নিজেরা খেল রসগোল্লা। বাংলার মানুষকে খাওয়াল গোল্লা।’’ এর পরই বাম নেতৃত্বের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ: ‘‘কোঁকড়ানো মুখ নিয়ে সব জ্ঞান দিচ্ছে।’’ তাঁর মতে, এ রাজ্যে বিরোধীদের আদর্শ, নৈতিকতা এবং দর্শনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকী, তাদের রাজনৈতিক ধর্ম বলেও কিছু নেই। তাই বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ‘‘সীমিত ক্ষমতা নিয়ে হয় রাজ্যের উন্নয়নে অংশ নিন, নয়তো লিপস্টিক পরে বসে থাকুন।’’
ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বছরেই বিরেোধীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘১০ বছর মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে বসে থাকুন।’’ ভোটের আগে শেষ ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে একই বার্তা দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন মমতা।