অতীত মুছতে চাইছিলেন। ফেলে আসা পুরনো বিতর্ক-অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে গত কয়েক বছরে পুরো দস্তুর রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন টিটাগড়ের এক সময়ের বেতাজ বাদশা মণীশ শুক্ল। কিন্তু, ‘শুধুই রাজনীতিবিদ’ হওয়া তাঁর হল না।
সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপি— যখন যে দলে ছিলেন, এলাকায় সেই দলের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন এক সময়ের সিপিএমের ছাত্র নেতা মণীশ। ব্যারাকপুরের এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা, প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ তোপদারের হাত ধরে মণীশের উত্থান হয়েছিল বলে জানে এলাকা। সিপিএম অস্তমিত হতে না হতেই তৃণমূলে যোগদান। যুব নেতা এবং পুরসভার কাউন্সিলর হলেও, আদতে টিটাগড়ে তিনিই ছিলেন দলের শেষ কথা। আবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে, সংগঠন বাড়াতে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯০-এর দশকের শেষ দিকে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন দিয়ে রাজনীতির শুরু মণীশের। ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভোটে কার্যত মণীশের একার জোরে ছাত্র সংসদ দখল করে এসএফআই। কার্যত বিনা ভোটে জয়লাভ মণীশকে তড়িতের কাছে এনে ফেলে। অনুগামী তৈরিতে অদ্ভুত দক্ষতাই বিভিন্ন দলে মণীশকে অপরিহার্য করে তুলেছিল বলে মনে করছেন এলাকার রাজনৈতিক নেতারা।