শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শাসক দলের স্থানীয় নেতারাও সরিয়ে নিয়েছেন তার মাথার উপর থেকে ছায়া। তা সত্ত্বেও মনোজ গ্রেফতারে পুলিশের গয়ংগচ্ছ মনোভাবটা গেল না।
শান্তিপুর কলেজে খোলা অস্ত্র নিয়ে শিক্ষকদের শাসানোর পরে, বৃহস্পতিবারও অধরা রয়ে গেল মনোজ সরকার।
তার মোবাইল ফোন খোলা রয়েছে। ফোন করলে তা ধরছেনও, অথচ পুলিশ তার মোবাইল ট্র্যাক করেছে, এমন কোনও খবর নেই। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে পুলিশ কি তাকে গ্রেফতার করতে চাইছে না?
শুধু বিরোধীরাই নয়, তৃণমূলের ছাত্র সংগঠণের একটা অংশের দাবি আসলে পুলিশ মনোজকে ধরার চেষ্টাই করছে না।
শান্তিপুরের বাসিন্দা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “এ সব গল্প। মোবাইলে সাংবাদিকরা পাচ্ছে। অথচ এত দিনেও পুলিশ সেই মোবাইল ফোনের সূত্রধরে তার কাছে পৌঁছাতে পারছে না। এটা বিশ্বাসযোগ্য?” তার অভিযোগ, “আসলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার কোন চেষ্টাই করছে না। মনোজের মত ছেলেরা ওদের দলের সম্পদ না!”
শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের অজয় দে’র ঘনিষ্ঠ ছিল মনোজ, এমনই শোনা গিয়েছিল। তবে অজয় এ দিনও জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে মন্তবঅয় করতে চান না তিনি। প্রায় একই সুরে দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তও বলছেন, ‘‘আমি এ নিয়ে কোনও কতা বলব না।’’
বিরোদীদের প্রশ্ন— এই নীরবতাই বলে দিচ্ছে, ওই নেতাদের সঙ্গে তলায় তলায় যোগাযোগ রয়েছে মনোজের।
টিএমসিপির জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত অবশ্য বলেন, “আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ রয়েছে ওকে ধরার। আমি তো জানি পুলিশ মনোজকে খুঁজছে।’’
কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজের ঘটনার মূল পান্ডাকে নাকি খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশে। একটা শিশুও বিশ্বাস করবে না সে কথা। নিজের প্রয়োজনে ওদের নেতারা মনোজের মতো ছেলেদেরই তো আশ্রয় দেবে!”
অথচ মনোজ নিজেও বুধবার ফোনে জানিয়েছিল, দু-এক দিনের ণধ্যেই আত্মসমর্প করবে সে। তা হলে? কৃষ্ণনগর আদালতের আইনজীবী সামসুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিনের ক্ষেত্রে একটা বাড়তি সুবিধাতো পাওয়া যায়। হয়তো সে কারনেই আত্মপর্ণের কতা বলেছে।
আর বিরোধীদের মন্তব্য, এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে মনোজ সরকার। আর, পুলিশ-মনোজ লোক দেখানো লুকোচুরি খেলা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy