Advertisement
E-Paper

ধস্ত নেপালে আটকে বহু, চিন্তা পরিবারে

নেপালে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না এলাকার এক যুবকের খোঁজ না মেলায় তাঁর পরিবার-পরিজনদের উদ্বেগ ছড়িয়েছে। শনিবার সকালে ভূমিকম্পের সময় নেপালের কাঠমান্ডুর কাছে নয়া বাস্তার এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ করার সময় ভূমিকম্পে ওই বহুতল ভেঙে পড়ার সময় সুশান্ত সাহু নামে ওই যুবক সেখানে ছিলেন বলে তাঁর এক আত্মীয় জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৭
ফাটল স্কুলের দেওয়ালে। —নিজস্ব চিত্র।

ফাটল স্কুলের দেওয়ালে। —নিজস্ব চিত্র।

নেপালে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না এলাকার এক যুবকের খোঁজ না মেলায় তাঁর পরিবার-পরিজনদের উদ্বেগ ছড়িয়েছে। শনিবার সকালে ভূমিকম্পের সময় নেপালের কাঠমান্ডুর কাছে নয়া বাস্তার এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ করার সময় ভূমিকম্পে ওই বহুতল ভেঙে পড়ার সময় সুশান্ত সাহু নামে ওই যুবক সেখানে ছিলেন বলে তাঁর এক আত্মীয় জানিয়েছেন। বছর পয়ত্রিশের সুশান্তের বাড়ি ময়নার শ্রীকন্ঠা এলাকার রামচন্দ্রপুর গ্রামে । পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, ‘‘ময়না এলাকা থেকে অনেকে নেপাল গিয়ে কাজ করছে । শনিবার ভূমিকম্পের পর তাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হলেও একজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে আমাদের কাছে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আমরা জানিয়েছি।’’

সুশান্তের সঙ্গে নেপালে কাজ করেন তাঁর মেজদা সুখেন্দু সাহু ও তাঁদের ভাগ্নে তাপস পাল । সুখেন্দুবাবু গত রবিবারই একা বাড়ি ফিরেছিলেন। নেপালে রয়েছেন তাঁর ভাই সুশান্ত ও ভাগ্নে তাপস। শনিবার নেপালে ভূমিকম্পের খবর পেয়ে সুখেন্দুবাবু ভাই সুশান্ত ও ভাগ্নে তাপসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। সুশান্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাননি সুখেন্দুবাবু। সুশান্তবাবুর স্ত্রী দিপালীদেবী জানান, ‘‘ভূমিকম্পের আগে ফোন করে ছেলের ও পরিবারের সবার খোঁজখবর নিয়েছিল। রাতে ফের ফোন করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু তাঁর মাঝে ভূমিকম্প হয়। তারপর থেকে আর যোগাযোগ করতে পারিনি।’’

ঘাটালেও এই একই কারণে উদ্বেগে রয়েছে বহু পরিবার। ওই পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিভিন্ন কাজের সূত্রে নেপালে কাজে গিয়েছিলেন তাঁদের পরিজনরা। কিন্তু শনিবারের ভূমিকম্পের পর তাঁদের সঙ্গে আর পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মীনা বলেন, “আমরাও উদ্বিগ্ন। সরকারের সঙ্গে যোগযোগ করে জেলার ঘাটাল-সহ বিভিন্ন এলাকার যাঁরা নেপালে রয়েছেন তাঁদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দাসপুরের রাজনগর, সাগরপুর, বেলেঘাটা, সোনামুই, সোনাখালি গ্রাম গ্রাম থেকে বহু মানুষ সোনা কাজের সূত্রে নেপালে থাকেন। শনিবারের ঘটনার পর‌ বেলেঘাটার বাসিন্দা সঞ্জিত মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি। ভাই বাপ্পা সেন কার্যত দিশেহারা। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক সেকেন্ডের ফোনে দাদাকে পেয়েছিলাম। বলল,ভাল আছি। সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পায়ে চোট লেগেছে। তারপরই ফোনটা কেটে গেল।’’

earthquake Nepal Nepal earthquake Kathmandu Ghatal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy