এ ধরনের পোস্টারই মিলল পুরুলিয়ায়। ছবি: সুজিত মাহাতো।
বাঁকুড়ার বারিকুলের পর এ বার পুরুলিয়ায় মাওবাদীদের পোস্টার মিলল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি বিঁধে পোস্টার দিল মাওবাদীরা। ‘শহিদ সপ্তাহ’ শুরুর ঠিক আগের দিন, সোমবার সকালে পুরুলিয়ায় বাঘমুণ্ডি থানা এলাকায় বলরামপুর-বাঘমুণ্ডি রাস্তার ধারে ভুচুংডি মোড়, টাইগার মোড়, মাঠা ও ধনুডি মোড় এলাকায় সাদা কাগজের উপরে লাল কালিতে লেখা একাধিক পোস্টার দিয়েছে মাওবাদীরা। এক সময় ওই এলাকায় মাওবাদীদের গতিবিধি ছিল। স্থানীয় মাঠা বনবাংলো আগুন লাগিয়ে পুড়িয়েও দিয়েছিল তাঁরা। রবিবারই পাশের জেলা বাঁকুড়ার বারিকুলে মাওবাদী পোস্টার মিলেছিল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কারও বাড়ির বা গ্যারাজের দেওয়ালে, দোকানের গায়ে, এমনকী মাটিতে পাথর চাপা দেওয়া অবস্থাতেও ওই সব পোস্টার দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পরে এত পোস্টার দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ছত্রধর মাহাতোর সাজার হওয়ার পর আড়শার কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি পোস্টার মিললেও এত সংখ্যক পোস্টার কোথাও দেখা যায়নি।
এ দিন পোস্টারের খবর মিলতেই পুলিশ এবং নাগা বাহিনী এলাকায় পৌঁছে পোস্টারগুলি সরিয়ে দেয়। ওই সব পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে— ‘মমতাদিদি কাদের সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী হলেন, জবাব দাও’। আবার কোনওটিতে লেখা, ‘যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিল, তাঁদের পরিবার কী পেল, মুখ্যমন্ত্রী জবাব দাও’। এমনকী, ছত্রধর মাহাতোকে কেন সাজা দেওয়া হল, তারও জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে ওই সব পোস্টারে। পাশাপাশি, নাগা বাহিনী এবং যৌথ বাহিনী তুলে ‘অপারেশন গ্রিনহান্ট’ বন্ধের দাবিও তোলা হয়েছে।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘এ দিন বাঘমুণ্ডি এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত কিছু পোস্টার মিলেছে। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ মাওবাদীদের কোনও স্কোয়াড অযোধ্যা পাহাড়ে ঢুকেছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে এসপি-র জানান, পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত সে রকম খবর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy