তালিকায় কোথাও একই নাম দু’বার। কোথাও রয়েছে ব্যাঙ্কের নাম। —নিজস্ব চিত্র।
মেধা তালিকায় কারও নামের জায়গায় লেখা ব্যাঙ্কের নাম। কারও আবার জন্ম তারিখই পরিচয়।
বর্ধমান রাজ কলেজে কাউন্সেলিংয়ের জন্য প্রকাশিত মেধা তালিকায় মিলেছে এমন গড়বড়ের নজির। তালিকা দেখে বিভ্রান্তি বাড়ছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য প্রযুক্তিগত ত্রুটির দোহাই দিয়েই দায় এড়িয়েছেন।
ঝামেলা কমাতে এ বার সব কলেজেই অনলাইনে ভর্তি চলছে। ভর্তির আবেদন, কাউন্সিলিংয়ের জন্য নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের নামের তালিকা প্রকাশ থেকে শুরু করে ভর্তির টাকা জমা জমা নেওয়া— সবই চলছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। বর্ধমানের অন্য কলেজের মতো রাজ কলেজও অনলাইনেই একের পর এক কাউন্সেলিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। গোলমাল দেখা গিয়েছে তার কয়েকটাতেই।
রাজ কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ৮ জুন থেকে প্রতিদিন রাত ১০টায় একটি করে তালিকা বের হচ্ছে। তালিকায় নাম থাকা ছাত্রছাত্রীদের পরের দিন রাত ১০টার আগেই ভর্তি হতে হবে, না হলে পরবর্তী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে সেখানে। কিন্তু সেই তালিকা খুললেই নজরে পড়ছে বেশ কিছু সমস্যা। যেমন, ১০ জুন রাতে বাংলা স্নাতক স্তরের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে অ্যাপ্লিকেশন নম্বর আলাদা হলেও একই নাম ও নম্বর পাওয়া বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। কোথাও নাম হিসেবে রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম, কোথাও আবার ৪১, মিস্টার ১/১/১৯৭৬। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এর আগে প্রকাশিত দু’টি তালিকাতেও একই রকম ভুল তাঁদের নজরে পড়েছে। শুধু বাংলা নয়, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন-সহ অন্য বিষয়গুলির তালিকাতেও এই রকম ভুল দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এর জেরে তৃতীয় তলিকা প্রকাশ হওয়ার পরেও অনেকের নাম থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁরা অন্য কলেজে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানান বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী। বার বার এই ভুল হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে নির্ভুল তালিকা প্রকাশ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়েও। কেউ কেউ আবার বেনিয়মের আশঙ্কাও করছেন।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে জমা পড়েনি। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই সমস্যা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে যে সংস্থাকে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy