পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির সদস্যরা।—নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবারের বৈঠকেও জট কাটল না ভাঙড়ের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের। এ দিন পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পাওয়ার গ্রিড বিরোধী জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে ছিলেন ভাঙড়ের বিডিও এবং স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবারই সাব স্টেশনের কাজ বন্ধ করে দেন কমিটির সদস্যেরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল সেই অনুযায়ী এলাকার উন্নয়ন কিছুই করা হয়নি।
এ দিন পোলের হাটের পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকে কমিটির সদস্যরা বলেন, এলাকা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি, এলাকার ৩০ জন যুবককে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার কথা ছিল সরকারের। তিরিশের মধ্যে মাত্র আট জন চাকরি পেয়েছেন। ঠিক তেমনি পাওয়ার গ্রিডের ভিতরে যাঁদের জমি ছিল এমন সাত জন এখনও টাকা পাননি। গ্রিডের বাইরে টাওয়ার বসানো শুরু হলেও, চুক্তি মত তারের তলার জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়নি।
কমিটির দাবি, প্রশাসন এবং পিজিআইসিএলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে জানিয়েছেন, প্রশাসন ওই বকেয়া কাজ দ্রুত শুরু করবে। তবে সেই প্রতিশ্রুতি এ দিন মানতে চাননি কমিটির সদস্যরা। তাই সোমবার ফের জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনামে লগ্নি? রোজভ্যালি-কাণ্ডে জড়াল পুলিশ কর্তার নাম
তবে প্রশাসনের অনুরোধে কমিটির সদস্যরা সাব স্টেশনের ভিতরের কাজ করতে দেবে পিজিসিআইএল-কে। তবে সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে শনিবার থেকেই তারের নীচে কত জমি কার রয়েছে সেটা জরিপ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে কমিটি।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় থানার পাশেই চলছিল মধুচক্র, হানা দিল লালবাজার
প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার নামখানার প্রশাসনিক বৈঠকে জানুয়ারি মাসের সাত তারিখের মধ্যে সাব স্টেশনের সমস্ত টাওয়ারের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তা আদৌ সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন পিজিসিআইএল-এর কর্তারা। সোমবারের বৈঠকের দিকে তাই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy