—প্রতীকী চিত্র।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রবিবার বিকেলে লন্ডভন্ড হয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার ওই জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুধু জলপাইগুড়িই নয়, উত্তরবঙ্গের আরও চার জেলা আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারেও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের তরফে সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, সোমবার উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
রবিবারের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা সদর-সহ ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। হতাহত বহু মানুষ। অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতিও বিপুল। চার জনের মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আহত বহু মানুষ। অনেকে আশ্রয়হীন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, জেলা ও ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং কুইক রেসপন্স টিম বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ত্রাণ সরবরাহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সোমবার জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তদারকি করবেন। সে দিকে নজর থাকবে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও রাজভবনে ‘ইমার্জেন্সি সেল’ চালু করেছেন। তিনিও সোমবার জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন বলে খবর রাজভবন সূত্রে।
শুধু জলপাইগুড়িও নয়, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কিছু এলাকাকেও ঝড়ের প্রভাব দেখা গিয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঝড়ের ফলে বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি থেকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। আগামিকালের মধ্যে যাতে তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy