স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাটালের যে এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি সেখানেই কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক দিন কয়েকের মধ্যে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে গুজরাত, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র থেকে ফেরতও আছেন অনেকে। তাই ঘাটালের ওই গ্রামের আনাজ বাজার-সহ লাগোয়া এলাকায় বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ।
কেশপুরের ঝেঁতলার বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সদ্য দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে সেই নমুনার পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বুধবার ওই পরিযায়ী শ্রমিককে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেশপুরের ওই এলাকা বুধবার ‘সিল’ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ মে ট্রেনে করে খড়্গপুরে ফিরেছিলেন তিনি। সেখান থেকে বাসে করে মেদিনীপুরের এক নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে আসেন। সেখান থেকে বাসে করে কেশপুরে ফিরে স্থানীয় এক স্কুলের কোয়রান্টিন সেন্টারে ছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে আরও একাধিক যুবক ছিলেন।জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, কেশপুরের ওই যুবকের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংস্পর্শে কারা এসেছেন তা দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি মুম্বই ফেরত কেশপুরের বাসিন্দা তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বার দিল্লি ফেরত কেশপুরের বাসিন্দা একজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “কলকাতায় চিকিৎসা সূত্রে ঘাটালের ওই বাসিন্দার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে।” তিনি জানান, কেশপুরের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উনি দিল্লি থেকে ফিরেছেন।
তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুধবারের বুলেটিনে অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন নতুন করে আক্রান্ত বলা হয়েছে। ওই বুলেটিনে ঝাড়গ্রাম জেলায় নতুন করে ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে তাঁরা জেলার কোথাকার বাসিন্দা সেটা বুধবার রাত পর্যন্ত জেলা সূত্রে জানা যায়নি।