সরেজমিনে: অভিষেকের সভাস্থলের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। রয়েছেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়াও। মঙ্গলবার তেমাথানিতে। —নিজস্ব চিত্র।
ক’দিন আগেই দফায়-দফায় লোডশেডিং নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। এ বার সেখানেই সভা হচ্ছে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই সভা চলাকালীন বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঠেকাতে নড়েচড়ে বসল বিদ্যুৎ দফতর।
আজ, বুধবার সবং ব্লকের তেমাথানি পল্লিশ্রী রাইস মিলের ময়দানে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দেবেন অভিষেক। গত ১৮ জুন তেমাথানির বাসিন্দা, ব্যবসায়ীরা লোডশেডিং সমস্যা মেটানোর দাবিতে সাব-স্টেশন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সে দিন আশ্বাস মিললেও সমস্যা সমাধানে স্থায়ী বন্দোবস্ত হয়নি। তাই অভিষেকের সভায় জেনারেটর থাকলেও সভা চলাকালীন যাতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় না হয়, সেই দাবি তুলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেই মতে এ দিন এলাকা পরিদর্শন বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের কর্তারা।
এ দিন জেলা বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তথা সবংয়ের নেতা অমূল্য মাইতির উপস্থিতিতে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মহাপাত্র। ঝুলে থাকা তার থেকে যাবতীয় ত্রুটি মেটাতে দিনভর চলে মেরামতির কাজ। কীভাবে তেমাথানির লোডশেডিং সমস্যা মেটানো যায় তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলা হয়। ছিলেন বিধায়ক মানস ভুঁইয়াও।
একই ফিডারে বিস্তীর্ণ এলাকা সংযুক্ত থাকায় মেরামতির কাজ হলেই এখানে বন্ধ রাখা হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে, সমস্যা হয়। খড়্গপুরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার তন্ময়বাবু বলেন, “বুধবারের রাজনৈতিক সভায় অনেক লোক আসবে। তাই পরিদর্শন করেছি।”
বুধবার এলাকায় দু’টি ‘কুইক রেসপন্স মোবাইল ভ্যান’ও রাখবে বিদ্যুৎ দফতর। থাকবেন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল) দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। জেলা বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “সভা চলাকালীন বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তাই আমি নিজে আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিপর্যয় মোকাবিলায় মোবাইল ভ্যান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এলাকায় থাকবেন। তাছাড়া
জেনারেটর তো রয়েছেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy