Advertisement
E-Paper

কার জমিতে স্কুল, হাতাহাতি সবংয়ে

নতুন অনুমোদিত জুনিয়র হাইস্কুলের জন্য দু’পক্ষের দেওয়া জমির কোন অংশে স্কুলভবন হবে তা নিয়ে গোলমাল বাধস। উঠল ছাত্রদের মারধরের অভিযোগও। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে সবংয়ের চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, এত দিনে স্থানীয় ক্লাবে চলা স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রদের টেনে নিয়ে যান জয়দেব পাল-সহ কয়েকজন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩২

নতুন অনুমোদিত জুনিয়র হাইস্কুলের জন্য দু’পক্ষের দেওয়া জমির কোন অংশে স্কুলভবন হবে তা নিয়ে গোলমাল বাধস। উঠল ছাত্রদের মারধরের অভিযোগও। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে সবংয়ের চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, এত দিনে স্থানীয় ক্লাবে চলা স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রদের টেনে নিয়ে যান জয়দেব পাল-সহ কয়েকজন। তারপর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠের অর্ধসমাপ্ত স্কুলভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য করা হয়। এই নিয়েই জয়দেব পাল ও তাঁদের বিরোধী পক্ষ নিশিকান্ত ঘোড়ইদের মধ্যে গোলমাল বাধে। বিষয়টি পুলিশের কানে পৌঁছয়। তবে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।

ওই গ্রামে বছর খানেক আগে একটি জুনিয়র হাইস্কুলের অনুমোদন দেওয়া হয়। কেলেঘাই নদীর বাঁধ ঘেঁষা দক্ষিণ দিকের জমি দান করেন স্থানীয় নিশিকান্ত ঘোড়াই-সহ কয়েকজন। আবার ওই জমির উত্তর দিকের অন্য একটি জমি দান করেন জয়দেব পাল-সহ কয়েকজন। এরপরই গোলমালের সূত্রপাত। নিশিকান্তদের দাবি, তাঁদের দান করা জমিতেই মূল স্কুলভবন করতে হবে। আর উত্তর অংশের জমিতে হবে খেলার মাঠ ও হস্টেল। কিন্তু বেঁকে বসেন জয়দেবরা। তাঁদের দাবি, উত্তর অংশের জমিতে স্কুলভবন করতে হবে। এই নিয়ে গোলমাল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখন স্থানীয় ক্লাবঘরেই চলছে নতুন অনুমোদিত স্কুল।

এ দিন কিছু লোক এসে শিক্ষক ও ছাত্রদের উত্তর দিকের জমিতে মাথা তোলা অসমাপ্ত ভবনে ক্লাস করতে হবে বলে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এই ঘটনা এই নিয়েই বাধে গোলমাল। নিশিকান্তবাবু বলেন, ‘‘জয়দেব পালরা চাইছেন ওঁদের জমিতেই স্কুল ভবন, হস্টেল-সহ খেলার মাঠ সমস্ত কিছু হবে। আমাদের তাতে আপত্তি রয়েছে। তাই ওঁরা জোর করে ছাত্র ও শিক্ষকদের মারধর করেছে।’’ সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীকান্ত ঘোড়াই বলেন, ‘‘স্কুলের ভবন তৈরি নিয়ে ওঁদের দু’পক্ষের গোলমাল চলছেই। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও জয়দেব পালরা ওঁদের জমিতে স্কুল করতে বাধ্য করাচ্ছেন। তা নিয়েই ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে জয়দেবের হাতাহাতি হয়েছে।” জয়দেবের সঙ্গে অবশ্য বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Sobong Junior high school Land police Panchayat Club School Teacher
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy