প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার এক কর্মীর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। শনিবার রাতে ময়নার তিলখোজা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। বাসিন্দারাই আগুন নেভায়। রবিবার ময়না থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তিলখোজা গ্রামের বাসিন্দা সেখ আলকাৎ আলি বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্য। ওই দিন রাতে আলকাৎ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকার সময় রাত আড়াইটা নাগাদ চিলেকোঠায় আগুন লাগে। আলকাৎ সহ পরিবারের সদস্যরা কোনওরকমে বাড়ির পিছনের দরজা খুলে বেরিয়ে আসায় রক্ষা পেয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় আগুন নেভে। খবর পেয়েই রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ময়না থানার পুলিশ। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের লোকজনই এতে জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
আলকাতের অভিযোগ, ‘‘শনিবার সন্ধ্যে নাগাদ কয়েকজন ব্যক্তি সিভিক পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমার বাড়ি এসে জানিয়েছিল আমাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় আমি ময়না থানায় ফোন করে জানতে পারি তা মিথ্যা। আমি ওই ব্যক্তিদের জানিয়ে দিই যে আমি যেতে পারব না। সে সময় তারা চলে যায়।’’ তিনি জানান, পরে রাত আড়াইটা নাগাদ বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে থাকার সময় আচমকা আগুন লাগার ঘটনা বুঝতে পারি। দাদা, কাকা সহ বাড়ির সকলেই পিছনের দরজা খুলে বেরিয়ে আসায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পেট্রল বোমা ছুঁড়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের লোকজনই এই ঘটনায় জড়িত।’’ রবিবার ময়না থানায় যান স্থানীয় বিধায়ক অশোক ডিন্ডা-সহ বিজেপির স্থানীয় নেতারা। অশোকের অভিযোগ, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। বিধানসভায় জেতার পরেও তা কমেনি। সেখ আলকাৎ আলির বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই জড়িত। তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি পুলিশের কাছে। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।::
আলকাতের বাড়ির অদূরেই জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সেখ সাজাহান আলির বাড়ি। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘আলকাৎ নানা সমাজবিরোধী কাজের সাথে জড়িত। পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই ঘটনা। আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘শনিবার রাতে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গিয়েছিল। তবে বাড়ির দোতালায় একটি কাপড়ে আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়িতে আগুন লাগার প্রমাণ মেলেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy