আহত অলকা জানা। —নিজস্ব চিত্র।
রাতের ট্রেনে ফের প্রশ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা।
হাওড়া-হলদিয়া লোকাল ট্রেনে এক মহিলা যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। মহিলা বাধা দিলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে হলদিয়া ও হাতিবেড়িয়া স্টেশনের কাছে ওই ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় হলদিয়া জিআরপি-র কর্মীরা। অভিযোগ, ওই রাতে মহিলা কামরায় কোনও জিআরপি কিংবা নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন না।
হলদিয়া-হাওড়া লোকালে মহিলা কামরায় এই ঘটনায় ফের রাতের ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায়। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অলকা জানা নামে হলদিয়ার পদ্মপুকুর এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার দাবি, তমলুক থেকে ছেলেকে নিয়ে তিনি লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় উঠেছিলেন। কামরায় বেশ কয়েকজন মহিলা যাত্রী থাকলেও সকলেই হলদিয়ার রানিচক স্টেশনে নেমে যান। অলকা দেবী ও তাঁর ১০ বছরের ছেলেই শুধু কামরায় ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, আচমকা হাতিবেড়িয়া স্টেশনে ওই কামরায় ওঠে এক যুবক। অলকাদেবীর দাবি, ‘‘ওই যুবক প্রথমে জানতে চায় তিনি কোথায় নামবেন। তারপর কামরার এদিক ওদিক ঘুরে এসে তাঁদের কাছে দাঁড়ায়। এর পর হঠাৎ ছুরি বের করে।’’ অলকাদেবীর কথায়, ‘‘ভয় পেয়ে গিয়ে মা ছেলে দুজনে চিৎকার করি। কিন্তু ধারে কাছে কেউ ছিল না। ওই যুবক আমাদের কাছে যা আছে সব বের করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু কাছে কোনও দামি জিনিস নেই বলায় আমার কাছে থাকা দুটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে ছুরি দিয়ে ডান হাতে কোপ মারে। ইতিমধ্যে ট্রেন হাতিবেড়িয়া স্টেশনে থামলে এক বৃদ্ধা কামরায় ওঠেন। সেই সুযোগে দুষ্কৃতী নেমে পালিয়ে যায়।’’ তিনি জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় হলদিয়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে তিনি জিআরপির কাছে যান। সেখানে সমস্ত ঘটনা জানানো পর জিআরপির কর্মীরা তাঁকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মহিলা কামরায় বিশেষ করে রাতের ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য রেলরক্ষী থাকার কথা থাকলেও সে দিন রাতে ওই মহিলা কামরায় কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না বলে মহিলার অভিযোগ। এই ঘটনায় ফের মহিলা কামরা নিরাপত্তায় যে ফাঁকফোকর থেকে গিয়েছে তা আরও একবার সামনে চলে এল।
এ প্রসঙ্গে হলদিয়া জিআরপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শেখ রবিরউদ্দিন জানিয়েছেন, বন্দর স্টেশনের কাছে লোকাল ট্রেনের এক মহিলা যাত্রীর কাছ থেকে ব্যাগ ছিনতাই করে পালানোর সময় দুষ্কৃতী মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মহিলার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। রাতের ট্রেনে রেল পুলিশ না থাকার ব্যাপারে ওই জিআরপি আধিকারিকের দাবি, নির্বাচনের কারণে কর্মীর সঙ্কট রয়েছে। তাই হয়তো কামরায় রেলপুলিশ ছিল না। তবে প্রত্যেকটি স্টেশনে পর্যাপ্ত রেল পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy