Advertisement
E-Paper

আয় বাড়িয়েই স্বাস্থ্যে জোর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর দেরি নেই। গ্রামোন্নয়নে আরও অর্থ বরাদ্দের চাপ আসছে পঞ্চায়েতস্তর থেকেই। তাই এক দিকে নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়ানো এবং অন্য দিকে স্বাস্থ্য- গ্রামোন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৮

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর দেরি নেই। গ্রামোন্নয়নে আরও অর্থ বরাদ্দের চাপ আসছে পঞ্চায়েতস্তর থেকেই। তাই এক দিকে নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়ানো এবং অন্য দিকে স্বাস্থ্য- গ্রামোন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দ— এই দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বাজেট পেশ হল। ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরের জন্য সব মিলিয়ে ৬৮৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে ৬৫২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার বাজেট পেশ হয়েছিল।

এ দিন সভা শেষে জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অজিত মাইতি বলেন, “আমরা এ বার স্বাস্থ্য- গ্রামোন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দাঁড়িয়ে কী ভাবে কী কী কাজ হবে, তাই বাজেটে বলা হয়েছে। আমরা অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিইনি।’’ বাজেটে কৃষক স্বার্থ সুরক্ষিত করার দিকটিতে জোর দেওয়া হয়েছে দাবি করে অজিতবাবু আরও বলেন, “এই বাজেট একেবারে জনমুখী।”তবে এই দাবিকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। যা শুনে জেলা পরিষদের এক বিরোধী সদস্যের কটাক্ষ, “প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তব না অবাস্তব তা আগামী দিনেই জেলার মানুষ বুঝতে পারবেন।”

এ দিন জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় খসড়া বাজেট চূড়ান্ত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অজিত মাইতি প্রমুখ। ছিলেন জেলার বিধায়করা, বিভিন্ন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা, জেলা পরিষদের সদস্যরা। বাজেটে বিভিন্ন ফি-র ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করার পাশাপাশি নতুন আয়ের উত্স খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। জেলা পরিষদে সবমিলিয়ে ১০টি স্থায়ী সমিতি রয়েছে।

এ বার সবথেকে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থ-পরিকল্পনায়, ৩৪৪ কোটি। জনস্বাস্থ্যে ১৭৮ কোটি, পূর্তে ৯৪ কোটি, শিক্ষায় ১৪ কোটি, কৃষিতে ১২ কোটি। পিছিয়ে পড়া গ্রামের উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। অজিতবাবুর কথায়, “যেখানে যেমন প্রয়োজন, সেখানে তেমনই বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রচুর রাস্তা তৈরি হয়েছে। তবে একাংশ ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতে কিছু রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। সংস্থাগুলো রাস্তার উপরই নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে দিচ্ছে। এক- দুদিন নয়, দিনের পর দিন। এ দিনের সভায় ঠিক হয়েছে, ওই সংস্থাগুলোকে সতর্ক করা হবে। কাজ না-হলে প্রয়োজনে সংস্থার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে গতি না থাকায় দিন কয়েক আগেই মেদিনীপুরে এসে জেলাকে সতর্ক করে গিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। জেলা পরিষদের অবশ্য দাবি, এ ক্ষেত্রে ৮১ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি ১৯ শতাংশ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে, ইন্দিরা আবাস যোজনায় ৪০ হাজার বাড়ি তৈরি হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে ১০ হাজার। এই ১০ হাজারের কাজও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।

Allotment Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy