Advertisement
০৭ মে ২০২৪

৪৯ স্টেশনে বসবে এটিএম

রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের অধীনে হল্ট স্টেশন বাদ দিয়ে ৯১টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে খড়্গপুর, মেদিনীপুর, সাঁতরাগাছি, মেচেদা, বাগনান, শালিমার-সহ ১৩টি স্টেশনে এটিএম কাউন্টার রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৭ ০১:৫৩
Share: Save:

বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খ়ড়্গপুর ডিভিশনের ১৩টি স্টেশনে রয়েছে এটিএম কাউন্টার। বাকি স্টেশনগুলিতে এটিএম না থাকায় হঠাৎ টাকার দরকার পড়লে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে খড়্গপুর ডিভিশনের আরও ৪৯টি স্টেশনে এ বার এটিএম পরিষেবা চালু করতে চান রেল কর্তৃপক্ষ। সে জন্য দ্রুত বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চায় রেল।

রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের অধীনে হল্ট স্টেশন বাদ দিয়ে ৯১টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে খড়্গপুর, মেদিনীপুর, সাঁতরাগাছি, মেচেদা, বাগনান, শালিমার-সহ ১৩টি স্টেশনে এটিএম কাউন্টার রয়েছে। ঝাড়গ্রাম, বালিচক, পাঁশকুড়া, বেলদা, জলেশ্বর, ঘাটশিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন-সহ বাকি ৭৮টি স্টেশনেই নেই কোনও এটিএম। ফলে হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

কেন ওই সমস্ত স্টেশনে এটিএম চালু করা যাচ্ছে না? রেলের দাবি, টেন্ডার ডাকলেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আগ্রহ প্রকাশ না করায় ওই স্টেশনগুলিতে এটিএম চালু করা যাচ্ছে না। এখন খড়্গপুরের মতো ‘এ-ওয়ান’ স্টেশনে এটিএম কাউন্টার বাবদ ব্যাঙ্কগুলিকে বছরে ৩ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দিতে হয় রেলকে । শালিমার, বালেশ্বরের মতো ‘এ’ ক্যাটাগরির স্টেশনে এটিএম কাউন্টার পিছু বছরে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও মেদিনীপুরের মতো ‘বি’ ক্যাটাগরির স্টেশনের জন্য বছরে ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। টিকিয়াপাড়া থেকে গিরিময়দান পর্যন্ত শহরতলির ‘সি’ ক্যাটাগরির স্টেশনে বছরে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা, ঝাড়গ্রাম, তমলুক, চাকুলিয়ার মতো ‘ডি’ ক্যাটাগরির স্টেশনে বছরে ৯৪ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। নারায়ণগড়, নেকুড়সিনির মতো ‘ই’ ক্যাটাগরির স্টেশনে এটিএম পিছু বছরে ভাড়ার হার ৬০ হাজার টাকা।

রেল সূত্রে খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্টেশনে এটিএম খোলার জন্য এজেন্ট মারফত রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাঙ্কগুলি। এ ক্ষেত্রে এজেন্টের মাধ্যমে কাজ হওয়ায় রেল নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় বেশি টাকা খরচ হয় ব্যাঙ্কের। তাই এটিএম কাউন্টার খোলার জন্য আগে বারবার টেন্ডার ডাকা হলেও ব্যাঙ্কগুলি সে ভাবে আগ্রহ দেখায়নি। তাই এ বার সরাসরি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাঁদের এটিএমের ভাড়ার হার জানাতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ চাইছেন, ব্যাঙ্কগুলি সরাসরি এটিএম খোলার জন্য দরপত্রে অংশগ্রহণ করুক। আজ, বুধবার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন কমার্শিয়াল বিভাগের রেল আধিকারিকরা। তারপরেই ফের ডাকা হবে টেন্ডার।

খড়্গপুরে রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “স্টেশনে এটিএম কাউন্টার খোলার জন্য আমরা টেন্ডার ডাকলেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আগ্রহ দেখান না। আসলে তৃতীয় ব্যক্তি মারফত এটিএমের কাজ হওয়ায় রেলের নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় বেশি টাকা গুনতে হয় ব্যাঙ্ককে। তাই ব্যাঙ্কগুলি আগ্রহ হারায়।’’ তিনি বলছেন, ‘‘আমরা ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনায় বসে ওঁদের অসুবিধার কথা জেনে বিভিন্ন স্টেশনে এটিএম খুলতে টেন্ডার ডাকব।”

খড়্গপুর ডিভিশনের অধীনে বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ওডিশার ৪৯টি স্টেশনে মোট ৮৬টি এটিএম কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। স্টেশনে এটিএম থাকলে একদিকে যেমন যাত্রীরা টাকার প্রয়োজন হলে পরিষেবা পাবেন, তেমনই এটিএম কাউন্টারের ভাড়া বাবদ রেলের আয়ও বাড়বে। রেলের কমার্শিয়াল বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, “স্টেশনে এটিএম চালু হলে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। বাড়বে রেলের আয়ও।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE