বাংলার ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ গনগনিতে পড়ে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র
চারদিকে ছড়িয়ে খাবারের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস, এমনকী মদের বোতল। পড়ে আছে খাবারের উচ্ছিষ্টও। সে সব পচে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।
এমনই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম পর্যটন স্থল গনগনির। শীলাবতীর তীরে গড়বেতার এই মনোরম নিসর্গে শীতের মরসুমে ভালই ভিড় জমে। অনেকে নদীর তীরে চড়ুইভাতি করেন। কিন্তু গোটা এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেই। অসন্তুষ্ট পর্যটকেরাও। গনগনিতে চড়ুইভাতি করতে আসা মুনমুন রায়, রিনা দাসেরা বলছিলেন, “গনগনির সৌন্দর্য অসাধারণ। অথচ এত নোংরা-আবর্জনা পড়ে থাকলে কি আর ভাল লাগে।”
গনগনি জুড়েই ক্ষয়িষ্ণু পাথুরে ভূমি। সেই রূপ অনেকটা আমেরিকার ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’-এর মতোই। তাই গনগনিকে অনেকে বাংলার ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ও বলে থাকেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার তেমন উদ্যোগ নজরে পড়েনি।
পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বছর কয়েক আগে এখানে ইকোপার্ক তৈরি করা হয়েছিল। সেই পার্কের পরিকাঠামোও ভাল নয়। প্লাস্টিক জমে দূষণ ছড়াচ্ছে। গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী বলেন, “গনগনির পরিবেশ আরও পরিষ্কার থাকা উচিত। পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কথা বলছি। সমিতিকে বলব, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে।” বিধায়কের কথায়, “প্রয়োজনে একশো দিনের প্রকল্পে ওই এলাকায় কিছু কাজ হবে। জেলার অন্যতম পর্যটনস্থল এই গনগনি। সেখানে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে।” গড়বেতার এই এলাকা নতুন করে সাজিয়ে তোলার সব রকম চেষ্টা চলছে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। পর্যটনের প্রসারে গনগনিতে বেশ কিছু কাজ হবে। কাজ যাতে দ্রুত হয় তা দেখব।”
পরিকল্পনা মতো কাজ হলে গনগনিতে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলেই সকলের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy