মনোনয়ন জমার দিনগুলিতে জেলাশাসকের অফিসের সামনে তৃণমূলের অস্থায়ী শিবির তৈরি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। শিবিরে জমায়েত তৃণমূলের লোকজন বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দিতে তাঁদের উপরে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বামফ্রন্ট ও বিজেপি সহ সব বিরোধী দল।
সোমবার বিকেলে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা পার হতেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের অফিসের সামনে ওই অস্থায়ী শিবির গুটিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল।
বিরোধীদের বাধা দেওয়ার কাজ সফল হওয়ায় তৃণমূলের লোকজন যখন স্বস্তির সময় কাটাচ্ছেন তখনই জানা গেল মঙ্গলবারও মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় ততক্ষণে জেলাশাসকের দফতরের সামনে শিবির সরিয়ে ফেলার কাজও প্রায় সারা। কিন্তু রাতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ জানার পরেই ফের শুরু হয়ে গেল ব্যস্তরা। কালও শিবির রাখতে হবে যে। ফলে মঙ্গলবার সকালে জেলা শাসকের দফতরের সামনে ফের দেখা গেল অস্থায়ী শিবির তৈরি করতে কাজে নেমে পড়েছে শাসক দলের কয়েক’শো লোক। যা নিয়ে ফের অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা।
এ দিন সকাল থেকেই তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী এবং পাঁশকুড়া ব্লক থেকে গাড়ি বোঝাই করে কয়েক’শো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এসে জমায়েত হয় জেলা শাসকের দফতরের সামনের রাস্তায় ও দফতরের প্রবেশপথে। এ দিন অবশ্য জেলা শাসকের দফতরের সামনে পুলিশ ছিল না। ফলে বিনাবাধায় শাসক দলের লোকজনের দাপাদাপি চলে।
পাঁশকুড়া, কোলাঘাট ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক থেকে বামফ্রন্ট এবং বিজেপি প্রার্থীরা এ দিন জেলা শাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন। কিন্তু বেলা ১১ টা থেকে মনোনয়ন জমার ঘোষণা থাকলেও তার কিছু আগে দলীয় নেতাদের কাছে খবর আসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার নির্দেশিকা বাতিল করেছে। এতে ক্ষোভ ছড়ায় বিরোধী শিবিরে।
ক্ষুদ্ধ বাম জেলা নেতৃত্ব মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা দলীর প্রার্থীদের নিয়ে নিমতৌড়ি মোড়ে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান। দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের আক্রমণের জেরে মনোনয়ন জমা দিতে না পারা ১৫০ জন বামপ্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য এদিন সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সোমবারের রাতের নির্দেশিকা মঙ্গলবার সকালে বাতিল করায় আমাদের অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি।’’
বিজেপির তমলুক জেলা সাধারণ স ম্পাদক নবারুণ নায়েকের অভিযোগ, ‘‘ এদিনও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেখানে জমায়েত ছিল। পুলিশ না থাকায় ভরসা করে প্রার্থীরা আর এগোতে পারেননি। পরে ১১টা নাগাদ কমিশন মনোনয়ন জমা নেবে না জানানোয় সবাইকে ফিরে যেতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy