Advertisement
০২ মে ২০২৪
ব্লক অফিসে জয়ীরা

কখন কী হয়! শংসাপত্র নিতে ভিড়

উৎসব: কেশপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের মিছিল। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

উৎসব: কেশপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের মিছিল। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ১৪:৩১
Share: Save:

যেন তর সইছিল না বিনা যুদ্ধে জয়ীদের!

আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকে জয়ের শংসাপত্র নেওয়ার হিড়িক দেখা গেল। জেলা নানা প্রান্তে পঞ্চায়েতের স্ত্রি-স্তরে তৃণমূলের যে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন, সকাল থেকে তাঁরা ব্লক অফিসে ভিড় করতে থাকেন। এক-এক করে জয়ের শংসাপত্র নেন। ভোটের আগেই জয়ী এক তৃণমূলপ্রার্থীর মন্তব্য, “এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়নের সময় একদিন বেড়েছিল। আবার কী হয় কিছুই বলা যায় না। তাই শংসাপত্রটা নিয়েই নিলাম। হাতে জেতার একটা প্রমাণ থাকল।”

সোমবার সকালে সদলবলে কেশপুর ব্লক অফিসে এসেছিলেন শুভ্রা দে সেনগুপ্ত। শুভ্রাদেবী কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি। এ বারও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। শুভ্রাদেবী মানছেন, ‘‘এ দিন ব্লকের অনেকেই জয়ের শংসাপত্র নিয়েছেন। আমিও নিয়েছি।’’ কেশপুরের বহু আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন শাসক দলের প্রার্থীরা। শংসাপত্র নেওয়ার আগে- পরে কেশপুরে মিছিলও হয়। সবুজ আবির ওড়ে। বিজয় মিছিলের ছবি ফেসবুকেও দিয়েছেন শুভ্রাদেবী।

একই ভাবে এ দিন সকালে মেদিনীপুর সদর ব্লক অফিসে এসে শংসাপত্র নিয়ে গিয়েছে গনি ইসমাইল মল্লিক। তিনি মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি। এ বারও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। গনি বলেন, “জিতে গিয়েছি যখন তখন শংসাপত্রটা নিয়েই নিলাম। আজ-কাল করে লাভ নেই।”

একদা ‘লালদুর্গ’ বলে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন ‘সবুজ গড়’। ভোটের আগেই সিকি ভাগেরও বেশি আসন পকেটে পুরে নিয়েছে তৃণমূল। জেলায় ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে ন’শোরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন দলীয় প্রার্থীরা। শতাংশের নিরিখে যা প্রায় ২৬ শতাংশ। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলছিলেন, “ন’শোরও বেশি শংসাপত্র লেখা কম ঝক্কির ছিল না। খুব কম সময়ের মধ্যেই সেই কাজ শেষ করা হয়েছে।’’

অবশ্য ‘রেকর্ড’ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও স্বস্তিতে নেই তৃণমূল। কারণ, প্রায় এক হাজার গোঁজ-নির্দল প্রার্থী রয়েছে জেলায়। জেলা পরিষদে ৩টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৮৭টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৪৭টি আসনে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী রয়েছে। আবার জেলা পরিষদে ৪টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭২টি আসনে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৬৫টি আসনে রয়েছে নির্দল প্রার্থী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য বলেন, “ব্লকে ব্লকে আলোচনা চলছে। যাদের গোঁজ-নির্দল বলা হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই দলের পক্ষে প্রচার করবে। আলোচনায় কেউ কেউ মৌখিক ভাবে এ কথা জানিয়েও দিয়েছে। তেমন বড় কোনও সমস্যা থাকবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE