Advertisement
E-Paper

দক্ষিণ কাঁথির উপ নির্বাচন নির্বিঘ্নেই

সকাল ১০টায় রোদ চড়া। জুনপুটের বিরামপুর বুথের সামনে কড়া পুলিশি প্রহরায় প্রায় একা একা ভোট দিয়ে গেলেন সালেমা বিবি। রবিবার প্রায় সারাদিনই এমন ছিল দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ছবিটা।

আনন্দ মণ্ডল ও শান্তনু বেরা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪২

সকাল ১০টায় রোদ চড়া। জুনপুটের বিরামপুর বুথের সামনে কড়া পুলিশি প্রহরায় প্রায় একা একা ভোট দিয়ে গেলেন সালেমা বিবি। রবিবার প্রায় সারাদিনই এমন ছিল দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ছবিটা।

তবে সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হতেই লাইন পড়েছিল বুথে বুথে। গরম বাড়ার আগেই ভোট দিয়ে ফিরছেন। আর দিনের শেষে ভোটের পরিসংখ্যান খুশি করেছে তৃণমূলকে।

তবে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগও ঘুরে বেড়িয়েছে সারাদিন। বিজেপির দাবি, শাহজাদপুর, গিমাগেরিয়া,ও সিরিয়াতে বুথ জ্যাম এবং বাঁধিয়া, পশ্চিম শ্রীরামপুরে সন্ত্রাস ও সাবাজপুটে তাদের তিন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে কোনও অভিযোগ কাঁথি থানায় হয়নি। বামেরা সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি। কারণ হিসেবে শাসক তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথাই তারা বলেছে। তাদের দাবি, বাঘাদাঁড়ি বুথে বাম পোলিং এজেন্ট রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। নাটদিঘি, দূরমুঠ, কুসুমপুর, আকন্দি, কলাপুঞ্জ, গ্রামে থমথমে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে বাম কর্মীদের বেরাতে দেওয়া হয়নি। কিছু বুথে বাম কর্মীদের ভোটার কার্ড ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।

তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী আবার বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী জায়গায় বাড়াবাড়ি করেছে। পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও ভোট দিতে বাধা দিয়েছে। একই পরিবারের সদস্যদের আলাদা করে দিয়ে ভোট দিতে পাঠিয়েছে। কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’

জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের চোখ মুখ দেখে মনে হয়েছে তাঁরা আমাকে আপন করে নিয়েছেন।’’ আশাবাদী বাম, বিজেপির প্রার্থীরাও। সিপিআই প্রার্থী উত্তম প্রধান বলেন, “এতো সন্ত্রাস তবু জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। কারণ মানুষকে আমরা বিশ্বাস করি।’’

ভোটের আগের দিন রাতে নয়াপুটে সহকারী সেক্টর অফিসারকে হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিগৃহীত জয়দেব ভুঁইয়া কাঁথি-১ ব্লকের সহকারী রিটার্নিং অফিসার শৌভিক বসুর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। ভোট দেননি কাঁথি-৩ ব্লকের কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দ্রিকলাকুঞ্জা গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় সিপিএম নেতা ঝাড়েশ্বর বেরার দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাসেই তাঁরা ভোট দিতে পারেননি।

প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যাও হয়েছে ভোটে। কিশোরনগর স্কুলের তিনটি মহিলা বুথের মধ্যে ৮৬ নম্বর ধনদিঘি বুথে প্রথম থেকেই ভিভি প্যাড খারাপ থাকায় এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ভোটে গ্রহণ। ভিভি প্যাড নিয়ে সমস্যায় হয়েছে অন্য বুথেও। তবে সর্বত্রই ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।

Bi-election Peacefully
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy